মুক্তাগাছা উপজেলা প্রতিনিধি:
হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং আগত রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সঙ্গত কারণে অন্তত জরুরি রোগীকে যেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় সে জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
গত ৭ মে ২০২৪ রাত ১টা ৩০ মিনিটে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্বাসকষ্টের একজন কিশোরী রোগী নেবুলাইজার নিচ্ছে মায়ের সাহায্যে। আর রোগীর পায়ের কাছে ময়লা যুক্ত বেসিনের পাইপ থেকে কিলবিল করে আসছে কেঁচো। শুধুমাত্র একজন কর্তব্য রত চিকিৎসক তার নাম রেজিস্ট্রেশন করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয় অন্য রুগীর খোঁজখবর নিতে চলে যান । কিছুক্ষণ পর কোনও পরিবর্তন না হলে কর্তব্যরত ডাক্তারকে সমস্যার কথা বললে তিনি ২৫ নম্বর রুমে পাঠান।২৫ নম্বর রুমে রুগীসহ লোকজন গিয়ে দেখেন রুমের দরজা বন্ধ । দরজায় নক করার পর ভিতর থেকে একজন ঘুমন্ত কন্ঠে বলেন ভিতরে আসার জন্য ।
দরজা খুলে গ্লাস টেনে ভিতরে ঢুকতেই অদ্ভুত দৃষ্টিতে কিশোরীকে বিছানায় উঠে বসা লোকটা জিজ্ঞেস করেন কি সমস্যা। ফ্যামিলিতে কারো হাঁপানি রোগ আছে? না বলার সাথে সাথে ইসিজিসহ অন্য একটি পরীক্ষা লিখে দেন। এবং বাহির থেকে পরীক্ষা করে নিয়ে আসতে বলেন। বাইরের সব ক্লিনিক বন্ধ থাকায় পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি 30 মিনিট পর আবার যোগাযোগ করলে ঐ লোকটি বলেন তাহলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চলে যেতে। বাধ্য হয়ে মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে রাতের বেলা ফিরে আসতে হয়।ভুক্তভোগী পরিবারকে। তাছাড়া হাসপাতালের ভিতরে টয়লেট আলোহীন ভাঙ্গা দরজা ও অত্যন্ত নোংরা এক পরিবেশ।