• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

জোড়া শতকের পর আবদুল মজিদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

মজিদের ডাবল সেঞ্চুরি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৮

রাজশাহীতে বিসিএলের শেষ রাউন্ডে রানের পাহাড়ে আগেই চড়ে বসেছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। আবদুল মজিদের ডাবল সেঞ্চুরিতে সেই রানের পাহাড় গিয়ে ঠেকেছে পর্বতে। সেই পর্বতের জবাবে অপরাজিত লিটনের সেঞ্চুরিতে এরই মধ্যে ছোটখাটো টিলা বানিয়ে ফেলেছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের ৫৪৬ রানের জবাবে পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ তিন উইকেটে ২৬৪ রান। ২৮২ রানে পিছিয়ে থেকে আজ তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামবে তারা।

রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মধ্যাঞ্চল ও পূূর্বাঞ্চল। প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করেন সাদমান ইসলাম ও আবদুল মজিদ। এটি ছিল মজিদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সপ্তম সেঞ্চুরি। সাদমান উইকেট হারালেও মজিদ অপরাজিত থাকেন। গতকাল দ্বিতীয় দিন তিনি পূর্ণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। দলীয় ৫৩০ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মজিদ। এর আগে খেলেন ২০৫ রানের একটি ইনিংস। ২৪৬ বলের এই ইনিংসে ছিল ২২টি চার ও ৮টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৫৪৬ রান শেষ হয় দলটির প্রথম। পূর্বাঞ্চলের সোহাগ গাজী ৪২.৩ ওভারের স্পেলে ১৮৮ রানে নেন ৫ উইকেট।

প্রথম দিনই চার উইকেট হারিয়ে ৪০৬ রান করে মধ্যাঞ্চল। ১৫৯ রানে ব্যাট করতে নামেন মজিদ। কিছুক্ষণ সঙ্গী হিসেবে পান শুভাগত হোমকে। ৭৬ বলে ৭১ রান করে সাইফ উদ্দিনের বলে আউট হন শুভাগত। তবে মজিদ ঠিকই এগিয়ে গেছেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। সেটিও ওয়ানডে ধরনে প্রায় ৮০’র কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে, ২৩০ বল খেলেই ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান মজিদ। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ার একটা শঙ্কা ছিলই পূর্বাঞ্চলের। স্কোর বোর্ডে ৪৬ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছিল ওপেনার মেহেদী মারুফের উইকেট। ব্যাট হাতে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত মাত্র ৬ রান করেই শুভাগত হোমের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। দলীয় ৫৩ রানে নেই পূর্বাঞ্চলের দুই উইকেট। এই অবস্থা থেকে হাল ধরেন লিটন কুমার দাস ও তাসামুল হক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজন যোগ করেন ১৪৮ রান। ব্যক্তিগত ৬৭ রান করে শুভাগত হোমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তাসামুল।

তবে লিটন খেলেন নিজের মতো করে। উইকেটের চারপাশে বাহারি সব শটে মোহিত করে রাখেন প্রতিপক্ষের বোলার ও ফিল্ডারদের। সমান ৫০ বল খেলে করেছেন অর্ধশতক। আর সেঞ্চুরির জন্য খরচ করেন মাত্র ৯০ বল। দিন শেষে ১৩৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন লিটন। অন্য পাশে সঙ্গী আফিফ হোসেন আছেন ৩০ রানে। মাত্র ৪৫ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে ফেলেছে পূর্বাঞ্চল। পিছিয়ে আছে ২৮২ রানে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads