• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

হারের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ আগস্ট ২০১৮

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরুতে বিলম্ব। যখন শুরু হলো, তাল-লয়ে প্রবল ঘাটতি। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক তামিম ও সৌম্যর। শূন্য রানে যখন টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের দুই ওপেনার বিদায় নেয়, ম্যাচের ভাগ্য যেন তখনই লেখা হয়ে যায়। তারপরও মিডল অর্ডারে খণ্ড খণ্ড লড়াই আশা জাগাল। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে টি-টোয়েন্টি রূপ নিল যেন টেস্টে। তারপরও সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে উঠল ১৪৩/৯ রান। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় উইন্ডিজের নতুন লক্ষ্য ১১ ওভারে ৯১। প্রতিরোধ করা গেল না কিছুই। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারতে হলো সাত উইকেটের ব্যবধানে।

ওয়ানডে নয়, এটি টি-টোয়েন্টি। প্রতিপক্ষ দাপুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয় পেতে কঠিন লড়াইয়ের বিকল্প ছিল না। স্কোর বোর্ডে অন্তত যোগ করতে হতো ১৬০-৭০ রান। ব্যাটিংবান্ধব উইকেট। মাঠের গড় স্কোরও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের গোল্ডেন ডাকের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড, পরের ব্যাটসম্যানদের খুনে মেজাজের ঘাটতি কপালে এঁকে দিয়েছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি হারের লজ্জা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ঝাঁজে ব্যাট করেছেন বলতে গেলে দুজন। ১০ বলে চার চারে ১৯ রান সাকিবের। ২৭ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বাকিদের মধ্যে কেউ ছিলেন ওয়ানডে, কেউবা টেস্ট আবহে। ফলে ওয়ার্নার পার্কের রান ফোয়ারার উইকেটেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস ছিল করুণ।

ওয়ার্নার পার্কে হার ছাপিয়ে আলোচনায় তামিম ও সৌম্যর গোল্ডেন ডাক। যে দুটি গোল্ডেন ডাক জন্ম দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে নতুন এক অস্বস্তিকর রেকর্ডের। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট তামিম। নার্সকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে নিখুঁত লেংথের ডেলিভারিটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড সৌম্য সরকার। একই ইনিংসে দুই ওপেনারের ‘গোল্ডেন ডাক’। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা প্রথম ঘটনা। তামিম এক কাঠি সরেস। তিনি হয়েছেন ইনিংসের প্রথম বলে স্টাম্পিং। কোনো ওপেনারের এমন আউটের ঘটনা প্রথম দেখা মিলল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।

তামিম ও সৌম্যর এমন আউট সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগলে রাখছেন সতীর্থদের, ‘ওদের চিন্তাভাবনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। টি-টোয়েন্টিতে সবাই ইতিবাচক থাকবে এবং রান করার চেষ্টাই করবে ইনিংসের শুরু থেকে। সবাই সে চেষ্টাই করেছে। এভাবে উইকেট না হারিয়ে কীভাবে রান করব, সেটিই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ১১ ওভারে আমাদের যে ১০০ ছিল, সেটা যদি ৫ উইকেটে না হয়ে ২ উইকেটে হতো তাহলে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতো যেখানে ১৯০/২০০ করার মতো একটা অবস্থায় আমরা যেতে পারতাম।’

মোদ্দা কথা, শুরুর গলদ প্রভাব ফেলেছে বাকি ব্যাটসম্যানদের ওপরেও। তবে পেছনে তাকিয়ে থেকে এখন আর লাভ নেই। টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। সাকিবের মতে, ‘সেখানে (ফ্লোরিডা) আমাদের অনেক দর্শক থাকবে। দর্শকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। যদিও একটা সফরের শেষ পর্যায়ে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করা কঠিন। যেহেতু বাকি আছে দুটি ম্যাচ। এখনো আমাদের সিরিজ জেতা সম্ভব।’ ক্যারিবীয় দ্বীপে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিলেছে হতাশা। এবার মার্কিন মুলুকে নতুন আশায় টাইগার শিবির। ভাগ্য বদলাবে ট্রাম্পের দেশে? 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads