• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
আরিফুলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি

ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো আরিফুল হক

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

আরিফুলের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৮

এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। তবে মাঠে নামা হয়নি দুবাই কিংবা আবুধাবিতে। হয়নি তাই ওয়ানডেতে অভিষেকও। কষ্টটা চেপে দেশে ফিরেই ব্যাট হাতে যেন ঝলসে উঠেছেন আরিফুল হক। তরুণ এই অলরাউন্ডার জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনেই রংপুরের হয়ে করেছিলেন সেঞ্চুরি। গতকাল সেই সেঞ্চুরি রূপ দিয়েছেন ডাবলে, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম। আরিফুলের ব্যাটে রান পাহাড়ে রংপুর বিভাগ।

লিগের প্রথম দিন প্রথম স্তরের ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বরিশালের বিরুদ্ধে ১১৭ রানে আরিফুল ছিলেন অপরাজিত। গতকাল সেখান থেকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন ২৩১ রানের ঝকমকে ইনিংস খেলে। ৩২৫ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ২১টি চার ও চারটি ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর আগে আরিফুলের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৬২।

আরিফুলের ডাবল সেঞ্চুরি, শেষের দিকে সোহরাওয়ার্দীর ৪৫ ও ধীমান ঘোষের ২৮ রানের সুবাদে সব উইকেট হারিয়ে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০২ রান। বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী ও মনির হোসেন নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৯১ রান করে দিন শেষ করেছে বরিশাল বিভাগ। শাহরিয়ার নাফীস ২৪ রানে বিদায় নিলেও রাফসান মাহমুদ (৫৩) ও ফজলে রাব্বি (১২) ক্রিজে আছেন অপরাজিত।

অন্যদিকে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে খুলনার বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক রাজশাহী। ২১০ রানে খুলনা অলআউট হলেও ৬ উইকেটে ৪৪৬ রান করেছে রাজশাহী। সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার মিজানুর রহামন। ১৬ চার ও দুই ছক্কায় ১১৫ রান করে ফেরেন তিনি। ফরহাদ হোসেন করেন ৮৩ রান। সাব্বির ৩৩ ও ফরহাদ রেজা ২৫ রান করেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ৯১ রানে জহুরুল ইসলাম ও ৪০ রানে সানজামুল ইসলাম অপরাজিত আছেন। খুলনার হয়ে আফিফ হোসেন নিয়েছেন তিন উইকেট।

দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সিলেটের বিরুদ্ধে স্বস্তিতে আছে ঢাকা মেট্রো। সাদমানের সেঞ্চুরি ও আশরাফুল-মার্শালের ফিফটিতে ৪২৬ রান তুলেছে দলটি। আগের দিন ১ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল দ্বিতীয় দিনে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ১০৮ বলে করেছেন ৫৩ রান। কাজী অনিক করেছেন ২৪। প্রথম দিন সাদমান করেছিলেন ১৫৭ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস। বল হাতে এদিন অবশ্য ৬ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের এনামুল হক জুনিয়র। তিন উইকেট শাহিনুরের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকছে সিলেট। ১৩২ রান তুলতেই দলটি হারিয়েছে ৬ উইকেট। প্রথম ছয়জন উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেননি, যা করেছে সপ্তম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটি। যেখানে ৩৭ রানে এনামুল হক জুনিয়র ও ৩৪ রানে শাহীনুর রয়েছেন অপরাজিত। বল হাতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে চার উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি। বাকি দুটি উইকেট পেয়েছেন আশরাফুল।

ফতুল্লার আরেক দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের রনি তালুকদার। চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রানে অলআউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা। রনির অপরাজিত সেঞ্চুরি ওপর ভর করে বিনা উইকেটে ১৭৬ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে দলটি। রনি বরাবর ১০০ ও আবদুল মজিদ ৬৬ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ১৪২ রানে অলআউট দলটি। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে ওপেনার সাদিকুরের ব্যাট থেকে। ঢাকার হয়ে শাহাদত চারটি ও মোশাররফ রুবেল নেন দুটি উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads