• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
জাতীয় ফুটবল দলে কক্সবাজারের চারজন

ফুটবলার তৌহিদুল আলম সবুজ, ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা ও আনিসুর রহমান জিকু

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

জাতীয় ফুটবল দলে কক্সবাজারের চারজন

  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে অংশ নিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখন স্বাগতিক বাংলাদেশসহ শেষ চারে ঠাঁই পাওয়া চারটি দল। আজ ৯ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় ফিলিপাইন ও তাজিকিস্তান দলের খেলার মধ্য দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ভ্যানু হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়াম। একই মাঠে ১০ অক্টোবর মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন। এতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পক্ষে কক্সবাজারের চার স্থানীয় খেলোয়াড়কে মাঠে দেখা যাবে। তারা হলেন মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার তৌহিদুল আলম সবুজ, চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকার ইব্রাহিম, একই এলাকার সুশান্ত ত্রিপুরা ও ডুলাহাজারা এলাকার আনিসুর রহমান জিকু। এদিকে ছেলের খেলা দেখতে একদিন আগে থেকেই সপরিবারে কক্সবাজার এসেছেন সবুজের বাবা আলহাজ বদরুল আলম আনচারী। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফুটলব ম্যাচে খেলতে দেখব এটা আমার খুব ভালো লাগছে। আগে তাকে টিভিতে দেখেছি। এখন সামনা-সামনি দেখব। এজন্য এলাকার অনেক মানুষ সঙ্গে এসেছে। একইভাবে ইব্রাহিমের বাবা মো. ইয়াছিন বলেন, আমার ছেলে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে এটা ভাবতেই আমার চোখে পানি চলে আসে। চকরিয়া থেকে তার অনেক বন্ধুবান্ধবসহ পরিবারের সবাই এসেছেন খেলা দেখতে। আমি বিশ্বাস করি মাঠে বাংলাদেশ জিতবে।

গত রোববার বিকালে কক্সবাজার স্টেডিয়াম মাঠে হালকা প্র্যাকটিস শেষে লোকাল হিরো ইব্রাহিম বলেন, ‘আগেও বহুবার কক্সবাজারে এসেছি, তবে এবারের আসার অনুভূতি অন্যরকম। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে প্রথমবারের মতো নিজের মাঠে এসেছি। চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দিতে। আরেক কৃতী ফুটবলার তৌহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমরা সিলেটেও ভালো খেলে সেমিফাইনালে উঠে কক্সবাজারে এসেছি। কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়াম মাঠে আমাদের খেলার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসা করছি নিজেদের মাঠে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ম্যাচটি আমরা জয় করতে পারব। সুশান্ত ত্রিপুরা ও আনিসুর রহমান জিকু বলেন, আমরা নিজেরাই খুব এক্সাইটেড। কারণ, নিজের মাঠে খেলব। আমরা জীবনের সবচেয়ে ভালো খেলা কক্সবাজারের মাঠে খেলতে চাই এবং জয়ের জন্য জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেছেন জেলার চার কৃতী ফুটবলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads