• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
স্বস্তির সঙ্গে বিস্মিতও পাপন

চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে জোর অনুশীলনে তামিম ইকবাল

ছবি : বাংলাদেশের ছবি

ক্রিকেট

স্বস্তির সঙ্গে বিস্মিতও পাপন

সাকিবের চোট প্রসঙ্গে

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

আঙুলের চোটের কারণে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। চলছে কড়ে আঙুলের সংক্রমণের চিকিৎসা। সাকিবের চোট নিয়ে চিন্তিত সবাই। কতদিনে সংক্রমণ দূর হবে, এরপর কবে অস্ত্রোপচার। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য স্বস্তির খবরই জানিয়েছেন। সাকিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তার অভিমত, সাকিবের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নাও হতে পারে। সঙ্গে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন সাকিবের আঙুল হঠাৎ ফুলে যাওয়ায়। এশিয়া কাপের মাঝপথে কেন এমনটি হলো, প্রশ্ন পাপনের।

এশিয়া কাপের আগে সাকিবকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কেন চোট নিয়েই খেলতে হবে, অস্ত্রোপচার করালেই তো হয়; এমন নানা প্রশ্ন ছিল। তবে বিসিবির দাবি ছিল- সমস্যা না থাকলেও খেলুক, তারপর দেখা যাবে। পাপন অবশ্য সব সময়ই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘সব নির্ভর করছে সাকিবের ওপর। ও যা চায় তাই হবে।’ চোট নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েই তো সাকিবের এমন অবস্থা। হঠাৎ আঙুল ফুলে যাওয়া, পুঁজ বের হওয়া, এখন সংক্রমণের চিন্তা। না খেললে তো এমনটি হতো না। এমন প্রশ্নও উঠছে আড়ালে-আবডালে।

বিসিবি সভাপতি তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যেখানে তার অবস্থান পরিষ্কার। জোর করে সাকিবকে খেলানো হয়নি। সব হয়েছে সাকিবের ইচ্ছাতেই। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমার সিদ্ধান্ত। ও বলল, ফিজিও বলে দিয়েছে অসুবিধা নেই। আমি হজ করে আসছি, চার দিন পর আমি মেইল দেখলাম, সাকিব টিমের সঙ্গে জয়েন করবে না। ওখান (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে সে এশিয়া কাপ খেলার জন্য আসছে। তখন আমরা জানলাম সে খেলছে।’

পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের আগে সাকিবের চোট প্রকট আকার ধারণ করে। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘হোটেলে দেখি সাকিব আর কয়েকজন বসা। ওখানে হাতটা দেখেছি, দেখি ফুলে গেছে। কথায় কথায় বলছে, ও খেলতে পারবে না। কয়েকজন পাশ থেকে বলল- এটা সেমিফাইনাল, খেলতে হবে। আমি তখন বলেছি, তুমি এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাও। তোমার যে অবস্থা তা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’

পরের অবস্থা সবার জানা। যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন সাকিব। পরশু সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে পাপনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাল ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। বলল, আজকে রিপোর্ট পাবে। ও খেলতে গিয়ে ব্যথা পেত তাহলে বুঝতাম। তাহলে এ রকম হলো কী করে? হঠাৎ করে হাতে এমন পুঁজ হলো কী করে। এটা আমাদের কাছে বিরাট প্রশ্ন। অপারেশনের কথা জানতে চাইলাম। ও বলল, অপারেশন করে লাভ নেই, লাগবে না। এখনো ওই জায়গায় আছে। এখনো ইনফেকশন কন্ট্রোলে আছে। এটা সাকিবের কথা, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলিনি। এর মধ্যে আমি দেবাশীষকে ফোন করি। আমরা সবাই এটা নিয়ে বেশ অবাক। এক দিনের মধ্যে এত পুঁজ, এত সিরিয়াস হলো কী করে।’

সাকিবকে গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হিসেবে পাপন বলেন, ‘সাকিব আমাদের সবচেয়ে কী প্লেয়ার। তিনটি প্লেয়ারের বিকল্প নেই- তামিম, সাকিব এবং অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির। সবাই তো তামিম, সাকিব ও মাশরাফির অভাব পূরণ করতে পারবে না। ওর কোনো ক্ষতি হোক সেটা কেউ চায় না। ও আমাদের সেরা সম্পদ।’

গোটা দলই চোটে আক্রান্ত। বিশেষ করে সিনিয়র সব প্লেয়ার। বাড়তি ঝুঁকি নেওয়ার পথে হাঁটবে না বিসিবি। তিনি বলেন, ‘মুশফিক বেশ ফিট। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে বেশি ছিল মাশরাফি। আল্লাহর রহমতে এখন ভালো আছে। মোস্তাফিজও আছে। এজন্য ওকে সাবধানে রাখতে চাচ্ছি। বাইরে খেলাটাও উৎসাহিত করছি না ওর। আর আছে সাকিব। এখন ইনফেকশন ওষুধ দিলে ভালো হয়ে যায়, অপারেশন আর লাগবে না, সেটা আমার ধারণা।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিবের সঙ্গে তামিমও হয়তো খেলতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে দলে নতুন প্লেয়ারের সন্নিবেশ ঘটবে। হতে পারে এক্সপেরিমেন্ট। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘তামিম-সাকিবের জায়গায় নতুন কাউকে তো খেলাতেই হবে। এক্সপেরিমেন্ট যা করার দরকার এই সময়েই করা হোক। বিশ্বকাপের পর আমাদের এশিয়া কাপ- এ দুই জায়গায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই এখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে।’

এশিয়া কাপের মাঝপথে হঠাৎ ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল দুবাইয়ে। যা নিয়ে বিসিবির সমালোচনায় মুখর ছিল অনেকে। সে প্রসঙ্গে পাপন বললেন- ‘ইমরুল আর সৌম্যকে যখন নিলাম, সবাই তো আমাকে মেরেই ফেলে। আমাদের তো কিছু করতে হবে। বসে বসে তো দেখতে পারি না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads