গত মার্চ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কাণ্ডে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের নির্বাসনে পাঠায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ৯ মাসের নির্বাসন হয়েছে ক্যামেরন ব্যানক্রফটের। স্মিথ-ওয়ার্নারদের মতো ক্রিকেটাররা যে অস্ট্রেলিয়া দলের সম্পদ, সেটা তারপর থেকেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গোটা অস্ট্রেলিয়া দল। একের পর এক সিরিজে ভরাডুবি হতে হচ্ছে টিম অস্ট্রেলিয়াকে।
দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের আগেই স্মিথ-ওয়ার্নারের ওপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন বা এসিএ। আর এসিএ’র চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রফটের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবতে শুরু করেছে তারা। ফলে ভারতের বিপক্ষেই আসন্ন সিরিজে তাদের ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
নির্বাসন তুলে নিয়ে অবিলম্বে বল বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসিত তিন ক্রিকেটারের শাস্তি কমিয়ে জাতীয় দলে ফিরিয়েও নেওয়া হতে পারে। এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস। তিনি জানান, ‘নির্বাসিত তিন ক্রিকেটারের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, তা বিবেচনা করে দেখার কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বোর্ড এই আবেদনপত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। এটাও তো ঠিক যে, বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের একজোট করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগই বিরাটদের ফেভারিট বলছেন। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টসের ইঙ্গিত যদি সত্যি হয়, অর্থাৎ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যদি অবিলম্বে স্মিথ-ওয়ার্নারদের ওপর থেকে নির্বাসন তুলে নেয়, তবে আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ অন্য মাত্রা পাবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
