• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
নাঈম-কীর্তির দিনেও শঙ্কায় বাংলাদেশ

স্পিনার নাঈম হাসান

ছবি : ইন্টপারনেট

ক্রিকেট

নাঈম-কীর্তির দিনেও শঙ্কায় বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৮

বিশ্বরেকর্ড গড়ে দিনটি স্পিনার নাঈম হাসানের। তবে দিনটা হতে পারত গোটা বাংলাদেশেরও। কিন্তু শেষ বিকালের ব্যাটিং ধস উল্টো চোখ রাঙাচ্ছে অজানা শঙ্কার। চট্টগ্রাম টেস্টে এখনো বাকি তিন দিন। তবে যা অবস্থা, তাতে ম্যাচের ফল আসতে পারে এক কিংবা দেড় দিন আগেই। 

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২৪। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৪৬ রানে। গতকাল শেষ বিকালে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান। তাতে বাংলাদেশের লিড ১৩৩ রান। আজ বাকি পাঁচ উইকেটে কত রান যোগ করতে পারবে বাংলাদেশ? কতই হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য জয়ের টার্গেট? তা বলা মুশকিলই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার শেন ডাউরিচ বলেছেন, বাংলাদেশ ২০০ রানের মতো টার্গেট দিলেও তা তাদের জন্য হবে কঠিন।

প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ৩১৫ রান। গতকাল সকালে বাকি দুই উইকেটের পতন হয় নয় রানের ব্যবধানে। অভিষিক্ত নাঈম হাসান করেন ২৬। ৩৯ রানে তাইজুল ইসলাম ছিলেন অপরাজিত।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টপ অর্ডার ব্যর্থ। তবে মিডল অর্ডারে হেটমায়ার (৬৩) ও ডাউরিচের (৬৩*) ব্যাটে দুইশ অতিক্রম করে দলটি। চেজ করেন ৩১ রান। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়ান অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামা স্পিনার নাঈম হাসান। তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে এমন কীর্তি গড়েন তিনি। এমন রেকর্ড গড়ার দিনে নাঈমের বয়স ১৭ বছর ৩৫৫ দিন। অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেটের আগের রেকর্ড ছিল প্যাট কামিন্সের। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার। বয়স ছিল ১৮ বছর ১৯৩ দিন।

নাঈমের পর বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। মিরাজ ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট। ৭৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দিনের শেষটা চরম হতাশাময়। কারণ ৫৫ রান তুলতেই বিলিয়ে দিতে হয়েছে ৫ উইকেট।

১৩ রানের মধ্যে হারায় প্রথম দুই উইকেট। ৩৫ রানে নেই চার উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করা ইমরুল কায়েস শুরুতে বিদায় নেন। ৫ বলে দুই রান করা ইমরুল ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হন। তের মাস পর টেস্টে ফেরা ইমরুল প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছিলেন সাজঘরে। দ্বিতীয় ইনিংসটা ছিল তার জন্য যোগ্যতা প্রমাণের। দেখেশুনে এগুচ্ছিলেনও। কিন্তু তারপরও টিকতে পারেননি। ১১ রান করে তিনি চেজের বলে ক্যাচ দেন ব্রাফেটের হাতে।

শুরুর চাপ কাটাতে পারেনি আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। চেজের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তিনি করতে পারেন মাত্র ১২ রান। তার বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানও নিজের ছায়া হয়ে রইলেন। দ্বিতীয় বলেই আউট। তার সংগ্রহ ১ রান। ওয়ারিক্যানের বলে ক্যাচ দেন গ্যাব্রিয়েলের হাতে।

দলের এমন মুমূর্ষু অবস্থায় শক্ত জুটির বিকল্প নেই। সেই চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক ও মিঠুন। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা পড়লেন মিঠুন। দলকে বিপদে রেখে তিনি আউট হন দলীয় ৫৩ রানের মাথায়। তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৭। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি সর্বোচ্চ সংগ্রাহক।

দিন শেষে মুশফিকুর রহীম (১১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০) আছেন অপরাজিত। এই জুটির পর নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বলতে আছেন শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার মানে লিডটা বড় করতে হলে এই তিনজনের ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই। লিডটা ২৫০-এর ওপরে থাকলে স্বস্তি থাকবে স্বাগতিক শিবিরে। তবে ২০০-এর নিচে হলে পরাজয়ের শঙ্কাটা বাড়বে বৈ কমবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads