• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
পাকদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের সমতা

উইকেট লাভের আনন্দে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ আফ্রিকার ফেলুকোয়ায়ো

ছবি : ক্রিকইনফো

ক্রিকেট

পাকদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের সমতা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে চেপে ধরেন অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়ায়ো। ২০৪ রানের লক্ষ্যে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংলাইনে যখন ধস, তখন ব্যাট হাতেও দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি। দলকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়লেন ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। বল-ব্যাটে ক্যারিয়ারসেরা পারফর্ম করে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমতায় ফেরালেন সিম বোলিং অলরাউন্ডার। ডারবানের কিংসমিডে ৫ উইকেটে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

মঙ্গলবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৫.৫ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে করে ২০৭ রান। ফিল্ডিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকে চেপে ধরে পাকিস্তানকে। কাগিসো রাবাদা ও ফেলুকোয়ায়োর পেসের সঙ্গে তাবরাইজ শামসির স্পিনে ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিংলাইন। ১১২ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা। তারপর পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও হাসান আলীর দারুণ এক জুটিতে। ফেলুকোয়ায়ো নিজের শেষ ওভারে ৯০ রানের এই জুটি ভাঙেন জোড়া আঘাতে। প্রথমে সরফরাজকে ৪১ রানে বোল্ড করেন, তারপর ইনিংস সেরা ৫৯ রানে হাসান ধরা দেন ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে। ডানহাতি পেসার ৯.৫ ওভারে ২ মেডেনসহ ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের পক্ষে শামসি নেন ৩ উইকেট, দুটি পেয়েছেন রাবাদা।

২০৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয় ব্যাটিং ধসের। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম তিন ওভারে হাশিম আমলা (৮), রিজা হেনড্রিকস (৫) ও ডু প্লেসিস (৮) ফিরে যান। ১৫তম ওভারে শাদাব খানের জোড়া আঘাতে পর পর ডেভিড মিলার (৩১) ও হেনরিখ ক্লাসেন (০) মাঠ ছাড়েন।

মাত্র ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে ছিলেন কেবল রাসি ফন ডার ডাসেন। কিন্তু তার সঙ্গে বিস্ময় জাগানিয়া জুটি গড়েন ফেলুকোয়ায়ো। দুজনের ফিফটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় স্বাগতিকরা। শুধু তাই নয়, তাদের ১২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮ ওভার বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তারা।

৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পান ফেলুকোয়ায়ো। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ৭ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৮০ বলের ইনিংস। ৮১ বলে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করা ফন ডার ডাসেন ৮০ রানে টিকে ছিলেন। তার ১২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। শাহীন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানের পক্ষে। বাকি দুটি নেন শাদাব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads