• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
৬ রানে হারল পাকিস্তান

বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনড্রিকস

ছবি : ক্রিকইনফো

ক্রিকেট

৬ রানে হারল পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কেপটাউনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিততে জিততে হেরে গেল সফরকারী পাকিস্তান। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের ৭৮ আর রিজা হেনড্রিকসের ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ১৯২ রান করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে বিশাল টার্গেটও প্রায় অনায়াসে পেরিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং নৈপুণ্য দেখিয়ে তাতে বাদ সাধেন প্রোটিয়া তারকা ডেভিড মিলার। পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ফলে হেরে যায় ৬ রানে।

ম্যাচের সব আলো আসলে কেড়ে নেন মিলার। চার ক্যাচ আর দুই রানআউট- মানে পাকিস্তানের ৬ উইকেট পতনে সরাসরি ভূমিকা রাখেন তিনি। এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স খুব কমই দেখার সৌভাগ্য হয়।

শুক্রবার রাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু মাত্রই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা গিহান ক্লোয়েতে ইমাদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের অসাধারণ এক ডাইভিং ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন। ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেছেন ইমাদ, যার ৪ ওভার থেকে রান এসেছে ২৩। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেন ডু প্লেসিস ও হেনড্রিকস। দুজনে মিলে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালান। পাকিস্তানের ৪ বোলারের প্রত্যেকে ওভারপিছু কমপক্ষে ১২ রান করে খরচ করেছেন। ১৬তম ওভারেই দলীয় ও ব্যক্তিগত বিশাল সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্লেসিস ও হেনড্রিকস। কিন্তু দলের স্কোর যখন ১৫৭/১, পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার উসমান শেনওয়ারি মাত্র তিন বলের ব্যবধানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে দেন। মিডঅফে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে প্লেসিসকে বিদায় করেন শোয়েব মালিক। ভ্যান ডার ডুসেনকে শূন্য রানে ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নিয়ে ৭৪ রান করা হেনড্রিকসকে ফেরান শাদাব খান। পাকিস্তানের উসমান ৩টি উইকেট লাভ করেন।

১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন বাবর আজম ও হুসেন তালাত। দুজনে মিলে প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর নিয়ে যান ৮৫/১ পর্যন্ত। ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে তাবরেজ শামসির বলে বাজে শট খেলে বিদায় নেন তালাত। পরের ওভার থেকেই মিলারের ‘কিলার’ বেশে আগমন। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, ফিল্ডার হিসেবে। বাবর আজমকে দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট করেন মিলার। এরপর আসিফ আলী, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও বিদায় নিতে হয় মিলার ঝলকের কাছে হার মেনে। ইমাদকে অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার বানিয়ে কিছু সময় বাদে রিজওয়ানকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করেন মিলার। টানা উইকেট পতনের মধ্যেও পাকিস্তানের ভরসা হয়ে ছিলেন অধিনায়ক শোয়েব মালিক।

পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী তার ৪৯ রানের ইনিংসটি হতে পারত মহামূল্যবান। শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। মাথা ঠান্ডা রেখে তৃতীয় বলেই মালিককে বিদায় করেন ক্রিস মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার মরিস, হেনড্রিকস ও শামসি ২টি করে উইকেট পান। আজ রোববার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads