• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
ইনজুরিতে তাসকিনের বিশ্বকাপ অনিশ্চিত

ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

ইনজুরিতে তাসকিনের বিশ্বকাপ অনিশ্চিত

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অফ ফর্ম আর ইনজুরি নিয়ে এমনিতেই প্রায় এক বছর তিনি ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের বাইরে। তবে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ছিলেন দারুণ ফর্মে। তাই তাকে নিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছিলেন দর্শকরা। কিন্তু তাও বুঝি আর তার কপালে সইছে না। নিজেকে এখন দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। এতদিন পর ডাক পেলেও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার আগেই ছিটকে গেছেন ইনজুরির কারণে।

বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া গোড়ালির ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে পারবেন না তাসকিন- এটা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো গোড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে তাসকিনকে মে-জুন মাসে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে পাওয়ার ব্যাপারেও সংশয়ে রয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

এর কারণটাও একদম সুস্পষ্ট। কেননা, গোড়ালির ইনজুরির কারণে অন্তত ছয় সপ্তাহ তথা প্রায় দুই মাসের কাছাকাছি সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হবে তাসকিনকে। এরপর মাঠে ফিরে যোগ দিতে হবে ফিটনেস ও রিহ্যাব প্রক্রিয়ায়। সেটি ঠিক হলেও মাস দুয়েক পরে তাসকিনের বোলিংয়ের কী অবস্থা দাঁড়ায় ভাবনায় রাখতে হবে সেটিকেও।

ডাক্তারদের দেওয়া তথ্য জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘তাসকিনকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে কি-না সে ব্যাপারে একটা সংশয় রয়েই গেছে। ডাক্তারদের ভাষ্য মতে, যেকোনো ধরনের লিগামেন্ট ছিঁড়লেই সেটি সারতে এবং মাঠে ফিরতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগে। কিন্তু আমাদের তো বিশ্বকাপের আগে সময় বাকি মাত্র তিন মাস। তাই একটা সংশয় থেকেই গেছে।’

প্রধান নির্বাচক নান্নু অনেক সংশয়ের কথা বললেও বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চান না। তার কথা- ‘বিশ্বকাপ এখনো দেরি আছে, তার আগে আয়ারল্যান্ড। কাজেই একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি এখনই বলতে পারব না যে তাসকিন বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না বা ঘুরিয়ে বললে সামনের তিন মাসে তার মাঠে ফেরা সম্ভব নয়।’

ডাক্তার দেবাশিষের ব্যাখ্যা, ‘রিহ্যাবটা যদি ভালো হয়। ফোলা এবং ব্যথা যদি কমতে থাকে। এর সঙ্গে ওয়েট ট্রেনিংটা ভালোভাবে করতে পারে, তাহলে যথাসময়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।’ তার শেষ কথা, ‘এখন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রাম। তারপর ব্যথা এবং ফোলা কমলে ধীরে ধীরে রিহ্যাবে যাওয়া। সেই ব্যথা-ফোলা কমার পর রিহ্যাবটা কেমন হয়, তাসকিন কতটা তাড়াতাড়ি রিকভার করতে পারেন এবং শরীরে বাড়তি ওজন বহন করতে পারেন- সেটার ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু।’

তাসকিনের প্রথম রিহ্যাব প্রক্রিয়াটা হবে কোনোরকমের ওজন বহন ছাড়াই। তখন যদি ব্যথা অনুভূত না হয় তাহলে অল্প অল্প করে ওজন বহনের ট্রেনিং করানো হবে। তখন ভারী ওজন দিয়ে পুরোদমে শুরু হবে রিহ্যাব প্রক্রিয়া। ‘সবকিছুই নির্ভর করছে কত দ্রুত রিকভার করতে পারেন তাসকিন’- বলেন ডাক্তার দেবাশিষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads