• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
পেসারদের ধৈর্য ধরার আহ্বান

পেসারদের ধৈর্য ধরার আহ্বান

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

পেসারদের ধৈর্য ধরার আহ্বান

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০১৯

তিন ওয়ানডে ও এক টেস্ট। ব্যাট হাতে মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের কিছু ব্যাটসম্যান। কিন্তু বল হাতে পেসারদের নাজুক অবস্থা শুরু থেকে এখনো বিদ্যমান। কী ওয়ানডে, কী টেস্ট- কোথাও স্বস্তি পাচ্ছেন না। টেস্টে তো স্পিনাররাও বেধড়ক মার খেয়েছেন অনুমিতভাবে। রান দেওয়ায় রেকর্ডও গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের সামনে এখন দুটি টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু হবে আগামী ৮ মার্চ। বাকি দুই টেস্টের আগে দলের বোলারদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

তিন ওয়ানডেতে হার, হোয়াইটওয়াশ। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করতে পেরেছিল মাত্র ২৩৪ রান। এর মধ্যে এক তামিমই করেছিলেন ১২৬ রান। বাকিরা ভাঙতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত। জবাবে নিউজিল্যান্ড রান-পাহাড়ে চড়ে বসে। তাদেরকে অলআউটই করা যায়নি। ৭১৫ রানে করে ডিক্লেয়ার। বল হাতে পেসারদের মধ্যে অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন পান একটি উইকেট। রাহী ও খালেদ উইকেটশূন্য। তিন পেসারই রান দিয়েছেন একশর ওপরে। তিনজনের মোট প্রদত্ত রান ৩৫৯। সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ একই দিয়েছেন ২৪৬। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্টে বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে উইলিয়ামসন শিবির, তা না বললেও চলে। এই ম্যাচে আবার খেলেননি পেস আক্রমণের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। পরের দুই টেস্টের জন্য তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল।

ওয়েলিংটনে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে আবহাওয়া খুবই খারাপ। থাকবে বাতাসের প্রাধান্য। সেই তুলনায় হ্যামিল্টনের পরিবেশ ছিল বেশ ভালো। উইকেটও ছিল ব্যাটিংবান্ধব। যার প্রমাণ মিলেছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে। তামিম ৭৪ রান করে ফেরার পর মনে হচ্ছিল এমন ইনিংস আর কেউ করে দেখাতে পারবেন না। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য যা করেছিলেন তা বিস্ময়কর। দুজনেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। পরের ব্যাটসম্যানরা কিছু রান করতে পারলেই এড়ানো যেত ইনিংস ব্যবধানে হার। কিন্তু তা আর হয়নি।

দ্বিতীয় টেস্টে অনুমিতভাবে থাকছেন মোস্তাফিজ। থাকবেন হ্যামিল্টনে অভিষেক হওয়া ইবাদতও। ওয়ালশের মতে, পেসারদের সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ ব্যাপার হবে যদি তারা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে, কী ঘটছে তা অনুভবও করতে পারে এবং এরপর আপনারা দেখতে পাবেন তারা কী শিখতে পারল। আমার মনে হয় তার (ইবাদত) ওপর আমরা মনোযোগী হয়েছি দুই বছর আগে, সে উন্নয়নশীল একজন খেলোয়াড় হিসেবে এখানে এসেছে। এরপর সে এখানে টেস্টে অভিষেক করল। তাই এটাকে আমি ভালো লক্ষণই মনে করছি।’

এক ম্যাচে ভালো না করলেও পরের ম্যাচে সুযোগ প্রসঙ্গে পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘আপনার অবশ্যই একটি ছেলেকে পরপর কিছ ম্যাচে সুযোগ দিতে হবে। আপনি যদি এখানে একটি টেস্ট খেলেন এবং আরেকটি অন্যখানে তাহলে আপনি কখনোই ধারাটা ধরতে পারবেন না এবং নিজের খেলাটার উন্নতি করতে পারবেন না। একটি কিংবা দুটি টেস্ট ম্যাচই যথেষ্ট নয়। অবশ্যই বাংলাদেশে স্পিনবান্ধব কন্ডিশন থাকে। আপনি যদি আরো সঠিকভাবে বলেন তাহলে সবশেষ ট্যুরটায় আমাদের নতুন বোলিং আক্রমণ ছিল, এবারেরটিও প্রায় একই। এখানে কোনো চলমান বিষয় কিংবা ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের তিন-চারজন ছেলের দিকে এভাবে খেয়াল করতে হবে যারা এটা করে যেতে পারবে। বিশেষ করে বাইরের দেশে তাদের ওপর যেন আস্থা রাখা যায়।’

কিউই ব্যাটসম্যানদের প্রতি বাংলাদেশ পেস আক্রমণ বলা চলে অনভিজ্ঞ। তা স্বীকার করলেন ওয়ালশ, ‘এটা খুবই অনভিজ্ঞ একটি আক্রমণ। আমরা কী ভালো করেছি এবং কী ভালো করতে পারিনি সেসবের দিকে মনোযোগী হতে হবে। নিউজিল্যান্ড তাদের মাটিতে আছে এবং তারা কন্ডিশনটা ভালো বোঝে। আমার মনে হয় তারা খুব ভালো খেলেছে। আমাদের বোলারদের মধ্যে কিছুটা ধৈর্য দরকার, হয়তো দেখানোও দরকার- তবে তারা অনভিজ্ঞ। মাঝেমধ্যে আমরা প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহ কিংবা কৃতিত্ব দিতে পারি না। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু সেটার যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করতে পারিনি। তারা এখানে থিতু হয়ে ভালো খেলেছে। এটা এমন ধরনের একটি উইকেট যেখানে একজন ব্যাটসম্যান যখন সেট হয়ে যায় তখন তাকে আউট করা কঠিন হয়ে পড়ে। আশা করছি আমাদের ছেলেরা এটা থেকে অনেক কিছুই শিখেছে এবং পরবর্তী খেলায় অনেক উন্নতি দেখাবে। আমাদের অবশ্যই নিউজিল্যান্ড যেমন খেলেছে সেটার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। আমার মনে হয় তাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাট করেছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads