• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
বিসিবিকে নিয়ে মাশরাফির প্রশ্ন

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বিসিবিকে নিয়ে মাশরাফির প্রশ্ন

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২১

আকরাম-দুর্জয়দের ‘কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সাকিব আল হাসানের মন্তব্যে যখন ক্রীড়াঙ্গন টালমাটাল, ঠিক সে সময়ই বিসিবির বিরুদ্ধে আরো কিছু অভিযোগ তুললেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি কর্তাদের জানাশোনা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে।

গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শেষবারের মতো মাশরাফির নেতৃত্বে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এরপর সাধারণ একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে তাকে বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা। সময় বয়ে গেলেও বাদ পড়া নিয়ে নীরব ছিলেন মাশরাফি। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি, বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আক্ষেপের সঙ্গে ক্ষোভও মিশে থাকল সাবেক অধিনায়কের কণ্ঠে।   

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘ফিটনেসের দিক বিবেচনা করলে মাশরাফির বাদ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।’ নির্বাচকদের কাছ থেকেও এ জাতীয় কথা শোনা গেছে। মাশরাফির আপত্তিটা সেখানেই। তার প্রশ্ন, তথ্য জেনে কী কথা বলেন বিসিবির কর্তারা? তারা অফিস করেন কি না, তা নিয়েও সংশয় আছে মাশরাফির!

ফিটনেস নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে বিসিবিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন মাশরাফি, ‘আমার ফিটনেস টেস্টে কখনো ফেল নেই। অনেককে বলতে শুনেছি মাশরাফি হয়তো পুরোপুরি ফিট নাও থাকতে পারে। আমি তো অবাক হয়েছি উনারা কতটুকু তথ্য রাখেন। বাইরের একজন দর্শক বলছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক যে অনেক কিছু না জেনেই তিনি বলতে পারেন। কিন্তু বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যারা বলছে, খুবই অবাক লাগে। উনারা কি আসলে কোনো তথ্য রাখেন, আদৌ অফিস করেন?’

সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক আরো বলেছেন, ‘আমার যত ইনজুরি আসুক, যাই আসুক, বিগত ২০ বছরে আমার একটা ফিটনেস টেস্ট ফেল নেই। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাকে একটা ফিটনেস টেস্ট বের করে দেখান যে মাশরাফির ফেল আছে। বিপ টেস্ট, স্কিল টেস্ট- একটা জায়গায় আপনি আমাকে ফেল এনে দেখান।’

প্রমাণ হিসেবে পুরনো ডাটা খুঁজে দেখার আহ্বান মাশরাফির, ‘যদি দিতে পারেন, তারপর আপনি কথা বলেন। মারিওর (মারিও বিল্লাভারায়েন, সাবেক ফিটনেস ট্রেনার) কাছ থেকে চেয়ে নেন, ওর কাছে ডাটা থাকবে। ক্রিকেট বোর্ডের কাছে যদি না থেকে থাকে, তাহলে তো অপেশাদার। বিগত দিনে কার কী ফিটনেস টেস্টের ফল, ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তো থাকতে হবে। ডাটাগুলো বের করে একটু দেখুন, আমার একটা ফিটনেস টেস্টে ফেল আছে কি না।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে দল নির্বাচনের সময় দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার জানিয়েছিলেন, মাশরাফির সঙ্গে আলোচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাশরাফির চোখেমুখে এবার বিস্ময়, ‘না, নান্নু ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, কিন্তু এসব কোনো কিছু না। এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত বলতে যাব না। শুধু এতটুকু বলি, কিছুটা সত্যি কথা আমি আশা করেছিলাম। যতটুকু বলেছে, পুরো সত্যি না বলত (নির্বাচকরা), কিছুটা সত্যি কথা আমি আশা করতেই পারি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads