অজিদের ট্যুর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, তা বলা যাবে না। তবে একটা অনিশ্চয়তার উদ্রেক ঘটেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয় ম্যাচের দিন এক ক্যারিবীয় সাপোর্টিং স্টাফের করোনা পজিটিভ হওয়ায় খবরে সেই ম্যাচ স্থগিত করে দেয়া হয়। দুই দলের সবাইকে পাঠানো হয় আইসোলেশনে।
সঙ্গে সঙ্গে সিরিজ সংশ্লিষ্ট ১৫২ জনের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্টে সবাই নেগেটিভ হওয়ায় স্বস্তির পরশ বিসিবি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই বন্ধ হওয়া ম্যাচও পরিবর্তিত সূচিতে খেলা হয়েছে।
শেষ খবর, সব অনিশ্চয়তার ঘোর মোটামুটি কেটে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র জানিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে এসে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।
আগেই জানা, অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বেশ কজন সদস্য আসবেন না বাংলাদেশ সফরে। শেষ দিকে ইনজুরির শিকার হয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে ছিটকে পড়েছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।
ঢাকায় আসার পর তিন দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে ৩ আগস্ট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে অজিরা।
এরপর ৪ আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচ। তারপর একদিন বিরতি। আবার ৬ ও ৭ আগস্ট পরপর দুদিন আরো দুটি ম্যাচ। পরে ৮ আগস্ট বিরতি দিয়ে ৯ আগস্ট সফরের শেষ ম্যাচ।
একসময় এটাই ছিল দেশের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল। রাষ্ট্রীয় অতিথি, বিদেশি কূটনীতিবিদ, বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটের কোন টেস্ট খেলুড়ে দলও এসে থাকত ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে। তারপর হোটেল সোনারগাঁ, প্যান প্যাসিফিক, রেডিসন, ওয়েস্টিন আর লা মেরিডিয়ান হওয়ায় সেভাবে আর ভিনদেশি ক্রিকেট দল এসে থাকেনি ইন্টারকন্টিনেন্টালে।
তবে নতুন সংস্কারের পর এবার একসঙ্গে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল এসে উঠবে এই হোটেলে। বিসিবির দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।