দীর্ঘ ১৮ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। সেখানে পৌঁছে কোয়ারেন্টাইন ও অনুশীলন পর্ব শেষে মূল সিরিজে মাঠে নামার সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল তারা। কিন্তু মাঠে গড়ায়নি ওয়ানডে সিরিজের একটি বলও।
শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। কিন্তু টসের নির্ধারিত সময়ের খানিক পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাচটি খেলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, পুরো সফরটিই স্থগিত করে দিয়েছে তারা। এর পেছনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়েছে কিউইরা।
এটা একদমই মানতে পারছেন না পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড এইমাত্র পাকিস্তানের ক্রিকেটকে হত্যা করল।’
এরপর নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন শোয়েব। তার মতে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচমকা সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে।
শোয়েব বলেছেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে ইসলামাবাদে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। তারা সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যেই ছিল। কিন্তু হুট করেই গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিল। এরকম নিরাপত্তা বিষয়ক সতর্কতা সবসময়ই থাকে। তবে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে, বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ স্বর্গ এখন পাকিস্তান।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘তাদের উচিত ছিলো আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর ভরসা রাখা এবং আমাদেরকে এভাবে বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলা। এর চেয়ে তারা পাকিস্তান সফরে না এলেই ভালো হতো। এভাবে হুট করে চলে যাওয়াটা পাকিস্তানকে বদনামের ভাগীদার বানানো। নিরাপত্তা শঙ্কা বিশ্বের সব জায়গায় আছে। আপনাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভরসা রাখতে হবে।’
হামলার খবর জানায় ভারতের পত্রিকা : নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে সিরিজ বাতিল করে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড। টম লাথামদের ওপর হামলা হতে পারে, এমন শঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল ভারতীয় দৈনিক। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল লিখেছে, গত ২১ আগস্ট ভারতের সংবাদপত্র দ্য সানডে গার্ডিয়ান গত মাসেই হামলার শঙ্কার কথা বলে। ভারতের দ্য সানডে গার্ডিয়ান লিখেছিল, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সাবেক মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান বলেন, আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) পাকিস্তান শাখা নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ওপর হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক রিচার্ড বুক তখন সানডে গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন যে নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বাধীন পরামর্শক দলের পরামর্শ মেনেই যা করার করবেন তারা।