• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
১০ পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ : মিরাজ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

১০ পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ : মিরাজ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনে নিয়ামক হওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জয়ের ওপড় গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। সিরিজটি সুপার লিগের অংশ হওয়ায় এবং প্রত্যক দলের জন্য ১০ পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি।

ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য সুপার লিগের পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুতত্বপূর্ণ। চলতি সিরিজে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে চার উইকেট এবং ৮৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সুপার লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে খেলার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তবে যেহেতু সামনে বাংলাদেশের কঠিন সিরিজ আসছে, তাই তাদের জন্য ১০ পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও ১০ পয়েন্ট পেতে মরিয়া টাইগাররা।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে টাইগাররা। সেখান থেকে ফিরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ১৩টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে মাত্র একটিতে হেরেছে এবং সেই একটি হার ইংল্যান্ডের কাছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে জয় বিশ্বের যেকোন দলের জন্যই কঠিন।

সব বিষয় বিবেচনা করে মিরাজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটিকে হালকাভাবে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাাজি নন মিরাজ।

মিরাজ বলেন, ‘আমরা সিরিজ জিতলেও, ১০ পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। এটা খুব ভালো যে আমরা সিরিজ জিতেছি। আমাদের পরবর্তী টার্গেট তৃতীয় ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নেয়া। সামনে আরো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু আমি মনে করি, আমরা যদি এই ১০ পয়েন্ট নিতে পারি তবে সামনের চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের জন্য সহজ হবে।’

আফগানিস্তান সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। ঘরের মাঠে শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি । প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর শেষ ওয়ানডেতে লংকার কাছে হারে বাংলাদেশ।

মিরাজ বলেন শ্রীলংকার বিপক্ষে কি হয়েছে- তা নিয়ে ভাবতে রাজি নয় দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যবধানটা ৩-০ করতে মনোনিবেশ করতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোন নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছি না, সবসময় ইতিবাচক থাকতে চাই। আগামীকাল আফগানিস্তাানের বিপক্ষে আমাদের একটি ম্যাচ আছে এবং আমরা এটি জিততে চাই।’

এমন লক্ষ্যকে বাস্তবে রুপ দিতে জুনিয়র-সিনিয়রদের একত্রে সাথে পারফর্ম করার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ তার(মিরাজ), আফিফ, মুস্তাফিজ এবং লিটনের মতো জুনিয়ররা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ/ছয় বছর কাটিয়েছে।

প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানেই ৬ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে জয় এনে দেন মিরাজ এবং আফিফ। তিনি জানান, এমন পারফরমেন্স শুধুমাত্র একবারই নয়. ভবিষ্যতে আরও করতে চান।

তিনি বলেন, ‘আসলে, প্রতিযোগিতা সব সময়। জাতীয় দলে পারফর্ম করতে হবে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে তরুণ খেলোয়াড়রা এখন আর তরুণ নয়। তাই জুনিয়র-সিনিয়র বলে কোন অজুহাত থাকা উচিত নয়। আমরা পারফর্ম করতে না পারলে আমাদের জায়গায় অন্য কেউ আসবে। আমি যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিবো এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে খাপ খাইয়ে নিবো, তত তাড়াতাড়ি আমি সফল হব এবং আমার ক্যারিয়ার আরও বড় হবে।’

মিরাজ আরও বলেন, ‘আমাদের সিনিয়ররা আমাদের সাপোর্ট করেন। আমাদের সাথে নিয়মিত কথা বলেন। তারা চান, আমরা পারফর্ম করি। আমরা যদি পারফরমেন্স করতে পারি তবে তাদের কাজ সহজ হয়ে যায় এবং দল একটি ভাল ফলাফল পায়, যা প্রথম ম্যাচে হয়েছিলো। আমি, লিটন, মুস্তাফিজ এখন প্রায় ৫-৬ বছর খেলছি, কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads