• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচন

আপিল করবেন জাহাঙ্গীর ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে বিএনপি

  • গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠানে হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়ায় থমকে গেছে সকল নির্বাচনী কার্যক্রম। মেয়রসহ বিভিন্ন পদের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকেই মুষড়ে পড়েছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরা অনেক এলাকায় বিক্ষোভও করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও হতাশা-ক্ষোভ দেখা গেছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম রিটটি করেন।

আদালতের স্থগিত আদেশের খবর পেয়ে করণীয় নির্ধারণে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকায় চলে যান জিসিসিতে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। মুঠোফোনে তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমরা নির্বাচনমুখী। ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে নির্বাচন স্থগিত করে সরকার ও আমাদের বিব্রত করেছে। এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করব। 

জিসিসি নির্বাচন স্থগিতের খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আদালতের এই আদেশ গাজীপুরবাসীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। আমার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে হলেও জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য আইনি লড়াই, মাঠের লড়াই, রাজনীতির লড়াই জনগণের পক্ষে করে যাব। তিনি বিকালে নগরীর টঙ্গীর নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে সরকার পরীক্ষা দিতে ভয় পায়। আওয়ামী লীগ তাদের গোয়েন্দা রিপোর্ট, হারুন (গাজীপুরের পুলিশ সুপার) রিপোর্টে হয়তো সরকারকে বলেছে, আমরা যতই সিল মারি, যতই ব্যালট কেটে দিই দুই তিন লাখ ভোটের ব্যবধান ব্যালট কেটে পূরণ করা সম্ভব নয়।

জিসিসি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর ভোটের প্রচারে থাকা আলাল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল নৌকার নমিনেশন পাওয়ার জন্য শেখ হাসিনার দরবারে প্রতি শুক্রবার একবার দেখা করে ফুল দিয়ে পূজা করে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন স্থগিতের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের চক্রান্ত এটা। এটার পেছনে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের ষড়যন্ত্র রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্র করে এ নির্বাচন এখানে বেশিদিন স্থগিত করে রাখা যাবে না। আইনি লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হব। পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত নিন্দা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।

জিসিসি নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্টের মেয়র প্রার্থী জালাল উদ্দিন বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ তার মাথায় বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো। এ নির্বাচনে তার কর্মী-সমর্থকরা উদ্বেল উজ্জীবিত ছিলেন। নির্বাচনী মাঠে সাড়াও পাচ্ছিলেন বেশ। এ অবস্থায় আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি অনেকটা হতাশ।

মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমরা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি দ্রুত এ সঙ্কট কেটে যাবে।                                         

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তৌহিদুল ইসলাম আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads