জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, আরপিও সংশোধন মানেই এই নয় যে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম ব্যবহারে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভালো ফল পেয়েছি। প্রয়োজনে যাতে সংসদ নির্বাচনে তা ব্যবহার করা যায়, সে প্রস্তুতি নিতেই আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছি।
সিইসি বলেন, ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রাজনীতিবিদরা সম্মতি দিলেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আগামী নির্বাচনে ইসি ইভিএম ব্যবহার করবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এর আগে ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সভা কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও সংশোধন নিয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।
তবে সভা শুরুর ১০ মিনিট পর বের হয়ে ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়ে চিঠিপত্র শাখায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট কমিশন সভা আহ্বান করলেও সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা মুলতবি করা হয়।
গত মঙ্গলবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করবে ইসি।
সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আইনগত ভিত্তি লাগবে। আরপিও-তে সংযোজন করতে হবে। ইভিএম ব্যবহার হবে কি হবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে ৩০শে আগস্ট কমিশন সভায়।