• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
ইইউ রাষ্ট্রদূতদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

ইইউ রাষ্ট্রদূতদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ অক্টোবর ২০১৮

‘বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অবহিত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় ইইউকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন সরকার সেই নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকবে।’ সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ইইউ-বাংলাদেশ ফোর্থ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে তাদের অবহিত করা হয় বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। সংলাপ শেষে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তাদের বলেছি এটা নির্বাচনের বছর। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, সকল দলে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে, সরকারের আকার ছোট হবে যদিও এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সেই ম্যাসেজটিও আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিয়েছি। ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংকের নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সংলাপে অংশ নেন। এ ছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মিশনের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সংলাপে অংশ নেন।

ইইউর কাছে জিএসপি প্লাস চায় বাংলাদেশ : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যাতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ভিন্ন রূপে বহাল থাকে ইইউভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, বড় যে বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি তা হলো- আমরা যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হব তখন যেন আমাদের জিএসপি সুবিধাটা ভিন্ন ফর্মে বলবৎ থাকে জিএসপি প্লাসের মতো, যেটা তারা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে দিয়েছে সেভাবে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

২০১৬ সালের ২২ মে প্রথম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ হয়। ওই ডায়ালগে সুনির্দিষ্ট বিষয় ও সেক্টরভিত্তিক পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।

এগুলো হলো- কাস্টমস, ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্যাক্স, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ। সংশ্লিষ্ট সেক্টরের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের আলোকে ইতোমধ্যে তিনটি সংলাপ হয়েছে।

এই পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ বাণিজ্য ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সেসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

সংলাপে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধান এবং ইইউভুক্ত দেশগুলো রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ইইউ বাণিজ্য খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads