• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে চলবে ইভিএম

ইভিএম

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে চলবে ইভিএম

কয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে তা এখনো ঠিক হয়নি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি অংশের বিরোধিতার মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পথ তৈরি করল সরকার। পাশাপাশি এই আইন সংশোধনের ফলে ঋণখেলাপিদের পোয়াবারো হয়েছে। বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, ইভিএমের অনুমোদন হলেও মন্ত্রিসভা বলেনি কতটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। দেশের কতটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সাংবাদিকদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কথা বলার সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচনের আগে সংসদে পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকায় সংশোধিত এই গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও বলবৎ রয়েছে তা করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। তা সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরপিওর সংশোধনীগুলো হলো- প্রথমত, ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। এটি বাধ্যতামূলক নয়। কতগুলো কেন্দ্রে কীভাবে এটি ব্যবহার করা হবে সেটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয়ত, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধ করা যাবে। আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে তা পরিশোধ করতে হতো। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়- সময় যত বেশি পাবে, খেলাপি ঋণ তত বেশি আদায় হবে। তৃতীয়ত, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি একই নিয়মে অনলাইনেও মনোনয়নপত্রও দাখিল করা যাবে।

এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেসব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে, সেসব জায়গায় ইভিএমের পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও রাখা হবে। যদি ভোটগ্রহণের সময় ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। দেশের কয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো এটি চূড়ান্ত হয়নি। তিনি জানান, ইভিএম মেশিন যদি কেউ ভাঙচুর করে বা ডিভাইস নষ্ট করে অথবা ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে। বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে হতো এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে হতো হাতে হাতে।

উল্লেখ্য, বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। ইসির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠালে গতকাল সোমবার তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads