• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
অন্য প্রতীকে দেওয়া ভোট সংশোধন করা যাবে তিনবার

ইভিএম

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

ইভিএম বিধিমালা চূড়ান্ত

অন্য প্রতীকে দেওয়া ভোট সংশোধন করা যাবে তিনবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ নভেম্বর ২০১৮

পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে অন্য প্রতীকে ভুল করে চলে গেলে তিনবার পর্যন্ত সংশোধন করে পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে ফের ভোট দেওয়ার বিধান রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে গত শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী চলা কমিশন বৈঠকে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এবং চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় ইসির কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালা নিয়েও শনিবারের মুলতবি বৈঠকটি রোববার শুরু হবে। পরে রোববার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর ইভিএম বিধিমালা চূড়ান্ত হয়। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে তা গেজেট আকারে জারি করবে ইসি সচিবালয়। ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, এ ছাড়া সভায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধন, আচরণবিধিমালা সংশোধন, স্বতন্ত্র প্রার্থী যাচাই বিধিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

ইভিএম বিধিমালা পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যবহারের সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত হলো। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর আট বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএম বিধিমালা ২০১৮’-এ রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, ভোট গণনা, ফল একত্রীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। কয়টি কেন্দ্রে এই মেশিন ব্যবহার করা হবে, তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসব কেন্দ্র বাছাই করা হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন সিইসি। এ সপ্তাহের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনর তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সিইসির জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ভোটের তারিখ ও ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোট দেওয়া যাবে এই মেশিন দিয়ে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করবেন পোলিং অফিসার। ডাটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টরের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে। মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোডসহ আরো কিছু তথ্য সংবলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেওয়া হয়।

ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে এলে ভোটিং মেশিনের স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা তিনটি পদের জন্য ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের ‘কনফার্ম’ বোতাম চেপে তার ভোট শেষ করবেন। কোনো কারণে ভুলবশত কোনো প্রতীক নির্বাচন করা হলে ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের ‘ক্যানসেল’ বোতাম চেপে পরে যেকোনো প্রার্থীকে আবার নির্বাচিত করা যাবে। এভাবে দুই বার ‘ক্যানসেল’ করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি নির্বাচিত করা হবে, সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads