• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ফরিদুল হক দুলাল এমপি

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

জামালপুর-২ (ইসলামপুর)

আয় বেড়েছে ফরিদুল হক খানঁ দুলাল এমপি’র

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

পাঁচ বছরের ব্যবধানে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান ওরফে দুলালের ব্যবসা কমলেও আয় বেড়েছে।

বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৮ টাকা, ২০১৪ সালের আগে যা ছিল ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৮ টাকা। কিন্তু ২০১৪ সালে আগের করা ব্যবসা কমলেও বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ টাকা বেড়েছে। একাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ফরিদুল হক এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেযেছেন। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের সাংসদ হিসেবে রয়েছেন।

বর্তমানে ফরিদুল হকের বার্ষিক আয় কৃষিখাতে ৮০ হাজার ১০৪ টাকা, ব্যবসায় ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকের আমানত থেকে ৫৪ হাজার ৪৪০ টাকা, মৎস্য খাত থেকে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও সাংসদ হিসেবে ভাতা পেয়েছেন ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৪ টাকা।

২০১৪ সালের আগে তার আয় ছিল কৃষিখাতে ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা, ব্যবসায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকা, ব্যাংকের আমানত থেকে ১৬ হাজার ৪৮১ টাকা, সাংসদ হিসেবে ভাতা পেয়েছেন ১৪ লাখ ৬ হাজার ১৭৫ টাকা ও রেমিটেন্স পেয়েছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৮২২ টাকা।

দশম সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা ফরিদুল হক স্বাত্বাধিকারী ছিলেন জামালপুর জুট বেলার, কৃষি ও মৎস ব্যবসার। এছাড়াও ঢাকার রমনা পশ্চিম হাজীপাড়া এমব্রয়ডাবী মার্ট লিমিটের পরিচালক, ঢাকার খিলগাঁওয়ে সোলার টেলিভিশন ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিডের চেয়ারম্যান ও ঢাকার খিলগাঁওয়ে সোলার এন্টারপ্রাইজের স্বাত্বাধিকারীর হিসেবে উল্লেখ ছিল। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন স্বাত্বাধিকারী হিসেবে জামালপুর জুট বেলার ও জামালপুর প্রোপার্টিজ লিমিডের। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কমলেও গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার আয় ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে ফরিদুল হকের জমা দেওয়া হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের বিবরণে উল্লেখ রয়েছে নগদ টাকা ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর নামে ১৫ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮ টাকা ও তার স্ত্রীর নামে ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা, বল্ড, ঋণপত্র,স্টক এক্সচেঞ্জ খাতে ৫ লাখ টাকা, ৭০ লাখ টাকা দামের একটি মোটরগাড়ি ও তার স্ত্রীর ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ১৫ ভরি স্বর্ণ ও তাঁর স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৭১ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৬১ হাজার ৪৭০ টাকার।

ফরিদুল হকের স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩.৫০ একর কৃষি জমি ও তার স্ত্রীর হেবা মূলে প্রাপ্ত ০.৫৭ একর, অকৃষি জমি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ০.১৩ একর ও তাঁর স্ত্রী হেবা মূলে ০.৩ একর ও ১০ কাটা, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া যৌথ মালিকানায় ০.২৫ একর, যৌথ মালিকানায় আধাপাকাঘর একটি, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি সিনসেড বিল্ডিং।

তিনি দায়সমূহে আরও উল্লেখ করেছেন সোনালী ব্যাংক ইসলামপুর শাখায় ৯৫ লাখ টাকা ও এনসিসি ব্যাংকের ঢাকার ধানমন্ডি শাখায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা। খেলাপী নন বলেও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads