• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
পাবনা-৩ আসনে ভোটের লড়াই হবে ত্রিমুখী

আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও মো. হাসানুল ইসলাম রাজা

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

পাবনা-৩ আসনে ভোটের লড়াই হবে ত্রিমুখী

  • চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

সারাদেশে এখন একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই হাওয়া এসে লাগতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোতে। নির্বাচনী এলাকা পাবনা-৩ এ তার ব্যতিক্রম নেই। পাবনা -৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তৃতীয়বারের মত দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ মো. মকবুল হোসেন।

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কেএম আনোয়ারুল ইসলাম ধানের শীষ প্রর্তীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রর্থী হয়ে হিংস মার্কা প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় জিয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ও সেন্ট্রি সিকিরিটি লিমিটেডে ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হাসানুল হক রাজা। তবে ভোটাররা বলছেন এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোট হবে ত্রিমুখী।

তবে নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাংচুর, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর অগ্নি সংযোগ. কর্মীদের মারপিটসহ নানা অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কেএম আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংহ মার্কা প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় জিয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ও সেন্ট্রি সিকিরিটি লিমিটেডে ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হাসানুল হক রাজা।

তবে জনমুখে শোনা যায়, পাবনা-৩ এলাকায় যত বেশী উন্নয়ন হয়েছে তা বেশীর ভাগ এ সরকারের অর্জন। পাবনা-৩ আসনের দুই-দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণায়লের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে এ এলাকায় পরিচিত আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন।

তিনি এর আগে দুবার উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন সেই কারণে অনেক আগে থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে জনতার সাথে তার একটা ভালো যোগাযোগ রয়েছে এমন কথাও এলাকায় শোনা যায়। গত ১০ বছরে এ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন।

চলনবিল অঞ্চল নামে খ্যাত মানুষের যোগাযোগ সহজতর করার জন্য সুবিধার বিষয়ে বিবেচনায় রেখে ২শ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭ টি বড় ব্রীজসহ ১৭ কি.মি. ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ রাস্তা, নৌবাড়িয়ার ব্রিজ। চাটমোহর জার্দিস মোড় হতে মান্নান নগর পর্যন্ত ৪টি ব্রীজসহ ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০ কি. মি. রাস্তা। এ রাস্তা দুটি পুরাপুরি চালু হলে চলনবিল অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের অনেকটা স্বপ্ন পুরণ হবে এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

এছাড়াও ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভাঙ্গুড়ায় ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতস্তম্ভ নির্মাণ, ৭ কোটি ১২ লাখের বেশী টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লে­ক্স নির্মাণ, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে।

এছাড়াও চাটমোহর ও ফরিদপুর উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনসহ অনেক উন্নয়ন কাজ রয়েছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অটুট মনোভাব সেই সাথে সুস্থ্যধারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি জনগণের মাঝে ঠাঁই করে নিয়েছেন। সে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো তিনিই মনোনয়ন পেয়েছেন।

এ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা নারী পুরুষ মিলে প্রায় ৪ লাখ। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি নেতা কে এম আনোয়ারুল ইসলামের নিকট তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালের ৯ম সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপির সাইফুল ইসলামকে পরাজিত করে তিনি বিজয় অর্জন করেন।

৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালের ১০ম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদকে পরাজিত করেন তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন এমপি বলেন, ‘আমি জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করি, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনতার উন্নয়নে কাজ করেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখবো’।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads