• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দ্বিধায় বিএনপি, ফুরফুরে জাপা

পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ও ধানের শীষের প্রার্থী তাহমিনা রুশদীর লুনা

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

সিলেট-২ আসন

দ্বিধায় বিএনপি, ফুরফুরে জাপা

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

আদালতের রায়ে মনোনয়ন স্থগিত হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী তাহমিনা রুশদীর লুনা ভোটের মাঠ থেকে ছিটকে যাওয়ায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। লুনার মনোনয়ন স্থগিত হওয়ার পর থেকে হাত গুটিয়ে বসে আছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ আসনে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের প্রার্থী থাকলেও তাকে সমর্থন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী জানান, বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন হাইকোর্টে স্থগিত হওয়ার পরই তারা প্রচার বন্ধ রেখেছেন। কেন্দ্র থেকে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ বলেন, ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর মনোনয়ন বাতিলে নেতাকর্মীরা হতাশ। ঐক্যফন্টের অন্যান্য শরিক দলের পক্ষ থেকে এখানে কেন্দ্রীয় সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরামের মোকাব্বির খান ‘উদীয়মান সূর্য’ এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ মুনতাছির আলী ‘ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও কাউকে সরাসরি সমর্থন করেনি বিএনপি। তবে গণফোরামের উচ্চপর্যায় থেকে তাদের প্রার্থী মোকাব্বিরের জন্য সমর্থন চাওয়া হচ্ছে বলে জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান বলেন, মোকাব্বির খান রোববার জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবেও বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে। তবে গতকাল  মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত  হয়নি।

সিলেটের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন থেকে ২০০১ সালে এমপি হয়েছিলেন ইলিয়াস আলী। ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ তিনি।

নবম সংসদ নির্বাচনে তাকে হারিয়ে ওই আসনের এমপি হন যুক্তরাজ্য ফেরত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির নেতা ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। এবারো তিনি মহাজোটের প্রার্থী। ইলিয়াসপত্নী তাহমিনা রুশদীর লুনাকে একাদশ নির্বাচনে ধানের শীষে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর এক রিট আবেদনে গত ১৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত তিন মাসের জন্য তার মনোনয়ন স্থগিত করে দিলে ভোটের লড়াই থেকে ছিটকে যান লুনা।

এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী মনোনয়ন চাইলেও শেষ পর্যন্ত মহাজোট থেকে শরিক জাতীয় পার্টিকেই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ইয়াহ্ইয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে। রোববার পর্যন্ত ওই আসনে তার পক্ষে প্রচারে অংশ নেননি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী। তবে ইয়াহ্ইয়ার দাবি, আওয়ামী লীগের সমর্থন তার পক্ষেই রয়েছে। শফিকুর রহমানও বলেছেন, মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি প্রচারণায় অংশ না নিলেও ইয়াহ্ইয়ার প্রতি তার সমর্থন আছে।

ইয়াহ্ইয়া বলেন, পুরো ওসমানীনগর বিশ্বনাথের আনাচ-কানাচে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় তরুণ সমাজ তার প্রচারে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads