• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
শেষ মূহুর্তে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

নির্বাচন বর্জন করে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জি. মমিনুল হক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

শেষ মূহুর্তে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে ভোট বর্জন করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ইঞ্জি. মমিনুল হক। রবিবার বিকালে (৩টা) নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

পুলিশী পাহারায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নির্বাচনের আগের দিন ব্যালেট বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ এনে ইঞ্জি মমিনুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, এ আসনের (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) ১৪১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্রে শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে বাধা দিতে এলে সন্ত্রাসীরা আমাদের (বিএনপি) প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, আজ (রবিবার) সকালে ভোট কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। যে সকল কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে পেরেছে, সেখানে ব্যালেট পেপারের হিসাব দিতে পারেনি প্রিসাইডিং অফিসার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী সংগঠনের লোকজন নির্বাচনী এলাকায় সর্বত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম আরম্ভ করে।

আইন শৃঙখলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সহযোগিতা পাননি অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার ১ম দিন হতেই পুলিশি ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের প্রচারনায় বাধা, মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ, নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের পরিবারের সদস্যদের গালমন্দ, ভয়ভীতি দেখানো, ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা আইন শৃঙখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও সহযোগিতা পাইনি।

সকাল ১১টার পর বেশীরভাগ কেন্দ্র ব্যালেট পেপার নেই বলে সন্ত্রাসীরা ভোটারদেরকে কেন্দ্র হতে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে অভিযোগ করলে, তিনি দেখছি বলে তার দায়িত্ব শেষ করেন। এসব কারণে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই এবং আমার নেতাকর্মীকে নির্বাচন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেই।

লিখিত বক্তব্য শেষে মৌখিক বক্তব্যে ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আমি ও আমার পরিবার ভোট দিতে পারিনি। নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কি অপরাধ করলাম আমি ? কেন এতো হামলা, মামলা, ভয়ভীতি, আটক, ভাংচুর, লুটপাট ও হয়রানি ? যে নির্বাচনে জনগণের অংশ গ্রহণ ও সম্পৃক্তা নেই, সে নির্বাচনে আমি নেই। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads