• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
নাটোরে জামানত হারাবেন ৬ রাজনৈতিক দলের ১৫ প্রার্থী

মানচিত্রে নাটোর

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

নাটোরে জামানত হারাবেন ৬ রাজনৈতিক দলের ১৫ প্রার্থী

  • নাটোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নাটোরের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নেয়া ১৯ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাবেন ৬ রাজনৈতিক দলের ১৫ প্রার্থী। দলগুলো হল, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ না পেলে সংশি­ষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাদের জামানত হারাতে হচ্ছে।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১১ হাজার ৯২৯। প্রদত্ত ভোটের পরিমান ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৪। এর মধ্যে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪০। এই আসনে এক-অষ্টমাংশ ভোট অর্থ্যাৎ ৩৩ হাজার ৪৯৬ ভোট না পাওয়ায় ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন- বিএনপি প্রার্থী কামরুন্নাহার শিরিন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৮ ভোট, বিপ­বী ওয়ার্কার্স পার্টির আনসার আলী দুলাল পেয়েছেন ৬১৯ ভোট, জাতীয় পার্টির আবু তালহা পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খালেকুজ্জামান পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৯ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রার্থী মাকসুদুর রহমান পেয়েছেন ৭৯৬ ভোট।

নাটোর-২(সদর-নলডাঙ্গা) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৬ জন। প্রদত্ত মোট ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৪১। বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল পেয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৬ ভোট। এই আসনে এক-অষ্টমাংশ ভোট অর্থাৎ ৩৫ হাজার ১৬৮ ভোট না পাওয়ায় ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত হারানো বিএনপি প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মজিবর রহমান সেন্টু পেয়েছেন ২হাজার ৭৭ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজিজার রহমান খান আমেল চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ ভোট।

নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৮জন। মোট ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৯০৪। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক পেয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৩২৭ ভোট। এখানে এক-অষ্টমাংশ ভোট অর্থ্যাৎ ৩০ হাজার ৩৬৪ ভোট না পাওয়ায় ৪ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরা হলেন বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ ৮ হাজার ৮৪১ ভোট, জাতীয় পার্টির আনিসুর রহমান ৩৬৫ ভোট, বিকল্প ধারার মঞ্জুরুল আলম হাসু ৩১৪ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোস্তফা ওয়ালীউল­াহ ১ হাজার ৭৬০।

নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭১ হাজার৭৮৮ জন। মোট ভোটের সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ৫৪১। এই আসনে বিজয়ী আবদুল কুদ্দুস পেয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩২ ভোট। এখানে এক-অষ্টমাংশ ভোট ৩৭ হাজার ১১৮ ভোট না পাওয়ায় ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত হারানো জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মৃধা পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বদরুল আমীন পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৭১ ভোট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির হারুনুর রশীদ পেয়েছেন ১ হাজার ১৭ ভোট।

তবে জামানত হারানো পার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আগে নাটোর-১ আসনে জাপা পার্থী আবু তালহা এবং নাটোর-৩ আসনে জাপা প্রার্থী আনিসুর রহমান ও বিকল্পধারার মঞ্জুরুল আলম হাসু নৌকার প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, জামানত অক্ষুন্ন রাখার নির্দিষ্ট ভোট না পাওয়ায় ৪ আসনের ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads