• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
বর্জনের সিদ্ধান্তেই ঐক্যফ্রন্ট

লোগো উপজেলা নির্বাচন

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন

উপজেলা নির্বাচন

বর্জনের সিদ্ধান্তেই ঐক্যফ্রন্ট

  • আফজাল বারী
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে বিএনপি এ প্রশ্নে দলীয় নেতাদের বেলায় কঠোর হলেও মিত্রদের কেউ কেউ নমনীয়। বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় প্রতীক দিতে নারাজ।

ফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি জনপ্রিয়তাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজস্ব জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করেন, দল তাতে কঠোর হবে না। তবে ওই নেতা বা প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  দফায় দফায় বৈঠক করে ঐক্যফ্রন্ট আগেই ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের নেপথ্যে একাধিক যুক্তিও উপস্থাপন করেছে। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি ও বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ৩০ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’র মধ্য দিয়ে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার কবর রচিত হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।

তারা বলেন, এ সরকারের অধীনে এখন নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হলো জাতীয় নির্বাচনে তাদের সব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সমর্থন করা। আওয়ামী লীগ অনেক আগেই বিপজ্জনক গতিতে চলছে, এখন তাদের জন্য শুধুই দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছে। নিশ্চিত দুর্ঘটনা জেনে, কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পেয়ে অন্য কোনো দল বা ব্যক্তি ‘বিশেষ আওয়ামী লীগ’চালিত নির্বাচনের ট্রেনে উঠলেও বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যাবে না। তবে এর জন্য যে সরকারের নিপীড়নের শিকার হতে হবে এমনটি বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের জানা আছে বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ের এক সদস্য।

গত রোববার নির্বাচন কমিশন সারা দেশে ৮৭টি উপজেলায় ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। সে অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চের পর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটের সম্ভাব্য সময় ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে গত ২৫ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে। দু’দিন পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সর্বোচ্চ ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠক করে। উভয় বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি না। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া আর কিছু সম্ভব নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তা একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আমরা আসন্ন নির্বাচনগুলোতে অংশ নেব না। এটা আমাদের দল ও ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত।

এর আগেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন করছি। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ভোটে অংশগ্রহণ করেন তাতে কঠোর হব না। তবে ওই নেতা বা প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads