• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সিটি নির্বাচনে জাপার ভরাডুবির কারণ

লোগো জাতীয় পার্টি

নির্বাচন

সিটি নির্বাচনে জাপার ভরাডুবির কারণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ মার্চ ২০১৯

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। এ নির্বাচনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দলটির একজন মহিলা কাউন্সিলর ছাড়া কোনো প্রার্থী জয়লাভ করেনি। নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির পেছনে জাপা চেয়ারম্যানকেই দায়ী করছেন নেতারা।

জাতীয় পার্টির প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, দলের চেয়ারম্যানের সকাল-বিকাল সিদ্ধান্তের কারণে এমনটা হয়েছে। তা না হলে ঢাকায় আমাদের অবস্থান এতটা খারাপ কখনোই ছিল না। এ ছাড়া দলে মহাসচিব, কো-চেয়ারম্যান কোনো রকম সহযোগিতা করেনি দলীয় প্রার্থীকে। সাবেক মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার দায়িত্বে থাকলে আমরা সরকারি দলের প্রার্থীর কাছে হারলেও এমন শোচনীয় পরাজয় হতো না। তিনি মহাসচিব থাকা অবস্থায় দল কখনো এমন হতাশাজনক অবস্থায় পতিত হয়নি।

ভোটের পরিসংখ্যানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হার আকাশ-পাতাল ব্যবধান। দলটির কদমতলী থানার সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ লিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮, ৫৯ ও ৬০ ওয়ার্ডে  (সংরক্ষিত আসনে) কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন। এ ছাড়া আর কোনো প্রার্থী বিজয়ী প্রার্থীর ধারে-কাছেও ছিলেন না বলে নেতাকর্মীদের দাবি। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মাত্র সাড়ে ৫২ হাজার ভোট পেয়েছেন। যেখানে বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন আট লাখ ৩৯ হাজার ভোট।

নির্বাচনে পরাজয় সম্পর্কে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী শাফিন আহমেদ বলেন,  আপনারাও জানেন ঢাকাবাসী জানে ৩০ শতাংশ ভোট মানে ৯ লাখ ভোটার ভোট দিতে গেছে, সেখান থেকে একজন প্রার্থী ৮ লাখ ৩৯ হাজার ভোট পেলে সেটার অর্থ দাঁড়ায় ৯৭ শতাংশ। যেখানে ভোটারের উপস্থিতিই নেই সেখানে ৯ লাখ ভোট দেখানো হচ্ছে। সেখান থেকে ১ জন প্রার্থী নিয়ে যাচ্ছে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ভোট এটা কতখানি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে। সাধারণ মানুষ সেটা বুঝতে পারে। এতে বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না। কেন্দ্রে ভোটার নেই এটা তো মিডিয়ায় আসছে। আপনাদের কাছে রেকর্ড আছে। সেখান থেকে একজন প্রার্থী এত ভোট নিয়ে গেল। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তার তো কোনো রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই যে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য সবাই যাবে। এটা তার প্রথম নির্বাচন ছিল। আমি শুধু ঘটনাগুলো উল্লেখ করছি বাকিগুলো মানুষ এমনিতেই বুঝে নেবে। একজন প্রার্থী যদি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ভোট নিয়ে যায় এটা কি সম্ভব যেখানে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তারা অলস সময় কাটিয়েছেন। তাহলে কেমন নির্বাচন হলো। দল থেকে কোনো অসহযোগিতা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শাফিন বলেন, এ বিষয় আমি মন্তব্য করব না।

এসব বিষয়ে জানতে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

উল্লেখ্য, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৩৮২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৫ জন। দুই সিটিতে ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩১০ জন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন, সমসংখ্যক ওয়ার্ডে ডিএসসিসির সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১২৫ জন। অন্যদিকে ডিএনসিসির ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৫ জন এবং ডিএসসিসিতে ২৪ জন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads