• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

প্রতীকী ছবি

সম্পাদকীয়

সন্ত্রাস দমনের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল করেছে। সন্ত্রাসবাদ তথা জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে, তার কৃতিত্ব বর্তমান সরকার দাবি করতে পারে। ২০১৮ সালের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও পাঁচ ধাপ এগিয়ে গেছে। ১৬৫টি দেশকে নিয়ে তৈরি এই সূচকে এ বছর ১২ ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান  ২০তম।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর দ্য স্টাডি অব টেরোরিজম অ্যান্ড রেসপন্সেস ইন টেরোরিজম (এসটিএআরটি) এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিষয়ক তথ্যভান্ডার গ্লোবাল টেরোরিজম ডাটাবেসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিডনিভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে।

এবারের সূচকে পাঁচ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ২৫তম। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের অগ্রগতির এ খবরটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে যখন সন্ত্রাসবাদ জেঁকে বসেছে এবং শত শত মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন আমাদের এই সাফল্যকে খাটো করে দেখা যায় না। স্বীকার করতে হবে যে, এই সাফল্যের পেছনে যেমন সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে, তেমনি জনগণেরও রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসকবলিত দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় বাংলাভাইরা জেলায় জেলায় বোমাবাজি করেছে। অবশ্য এই সরকারের আমলেই আবার বাংলাভাইসহ এর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এ কথা মানতে হবে যে, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে তাদেরই স্বার্থে গৃহীত রাজনৈতিক ফায়দা গ্রহণের কারণে ক্রমান্বয়ে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠাঁই করে নেয়।

আর সে কারণেই হলি আর্টিজানের মতো হামলার সক্ষমতা দেখিয়েছে মারজান-নিবরাস। সরকার কঠোরহস্তে তা দমন করে সামনের দিকে অগ্রসর হবে। জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রসারও বেড়েছে। বেড়েছে ব্যয়ও। সরকারও এ বিষয়ে আশাবাদের বিষয়টি মনোযোগ দিয়েছে। আমরা মনে করি, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে আরো কঠোর হতে হবে এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে উন্নতির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সব অগ্রগতির প্রধান লক্ষ্য থাকে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়ানো এবং মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভালো। আমরা আশা করি, সামনের দিনগুলোতেও বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং আগামী বছর সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করে শান্তির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উপরে উঠে আসবে। দেশবাসীর প্রত্যাশা সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সাফল্য অব্যাহত থাকুক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads