• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দুই মানিকে কত তফাত

ছবি : সংগৃহীত

সম্পাদকীয়

দুই মানিকে কত তফাত

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০২০

আজকের লেখার উপজীব্য দুজন মানিক। একজন আমাদের দেশের, অন্যজন নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারতের। দুই মানিকই স্ব-স্ব কর্মগুণে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন। দুজনই জনপ্রতিনিধি। তবে একজন অনেক উপরের, অপরজন সর্বনিম্ন পর্যায়ের। প্রথমে প্রতিবেশী ভারতের মানিকের কথা বলে নিই। পুরো নাম মানিক সরকার। ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার টানা চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মানিক সরকার কলেজছাত্র থাকা অবস্থাতেই বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। মাত্র উনিশ বছর বয়সে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)-সিপিএম-এর সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ (এমবিবি কলেজ) ছাত্র সংসদের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে সিপিএমের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮০ সালে এমএলএ নির্বাচিত হওয়ার পর মানিক সরকার ত্রিপুরার রাজ্য বিধানসভার চিফ হুইপ এবং ১৯৮৩ সালে সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সেক্রেটারি হন। ১৯৯৮ সালে মানিক সরকার সিপিএমের কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য এবং একই বছরে সিপিএম ত্রিপুরায় রাজ্য সরকার গঠন করলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তার পর দীর্ঘ কুড়ি বছর ওই পদে আসীন ছিলেন ভারতের এ আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপির কাছে সিপিএম পরাজিত হলে মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারান।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন। রাজধানী আগরতলায় তার নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই, এমনকি নেই একটি গাড়িও। মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতার পুরোটাই দলের ফান্ডে দান করে দিতেন। বিনিময়ে দল থেকে তাকে ১০ হাজার রুপি ভাতা হিসেবে দেওয়া হতো। তার স্ত্রী পঞ্চালী ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমাজসেবা বোর্ডে চাকরি করতেন। তিনি রিকশায় চলাফেরা করতেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর মানিক সরকার কোথায় উঠবেন এ দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। অবশেষে তাকে সিপিএমের রাজ্য কার্যালয়ের দুটি কক্ষ দেওয়া হয় বসবাসের জন্য। তার সম্পদের মধ্যে ছিল কয়েক হাজার বই। সেগুলো তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার গ্রামের বাড়িতে। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কুড়ি বছর অধিষ্ঠিত থাকার পরও মানিক সরকার রাজধানী আগরতলায় একটি বাড়ি করতে পারেননি বা তার একটি নিজস্ব গাড়ি নেই— এ কথা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকের কাছেই হয়তো বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য মনে হলেও তা যে সত্যি তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এবার আসি আমাদের দেশের এক মানিকের কেচ্ছায়। তাকে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে দৈনিক সময়ের আলো। পত্রিকাটির গত ৩০ আগস্টের সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে ওই মানিকের কাণ্ড-কীর্তির যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তাতে আক্কেল গুড়ুম না হয়ে যায় না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে তিনি যে পরিমাণ বিত্তশালী হয়েছেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। তার পুরো নাম বশির আহম্মেদ মানিক। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি। এখন তিনি ওই অঞ্চলের দুর্নীতি আর অপরাধের মহারাজা হিসেবে পরিচিত। একযুগ আগেও মানিকের পিতার একটি মুদি দোকান ছাড়া আর কিছুই ছিল না। সেই মানিক ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে আঙুল ফুলে পরিণত হয়েছেন রীতিমতো ‘বটগাছে’! এ সময়ে তিনি গ্রামে বিশাল ডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়েছেন, ঢাকায় বাড়ি করেছেন, জমি এবং দোকানও কিনেছেন। তাছাড়া তার রয়েছে একটি বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাস, আছে ব্যক্তিগত গাড়িও। মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক কারবারে পৃষ্ঠপোষকতা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের অভিযোগ। তবে অবাক কাণ্ড হলো, এসব অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে ফিরলেও রামগঞ্জ থানা-পুলিশের নাকি তা জানা নেই। পত্রিকাটির অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানিক চেয়ারম্যান নিজেকে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি পরিচয় দিলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। কলেজটির কয়েকজন সাবেক ভিপি জানিয়েছেন, তিনি ভিপি প্রার্থী ছিলেন, তবে ভিপি হতে পারেননি। আর যুবলীগের কমিটিতে তার নাম নেই। চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের অপকর্ম বা অপরাধের যে ফিরিস্তি পত্রিকাটি তুলে ধরেছে, তা এখানে উল্লেখ করতে গেলে নিবন্ধের কলেবর বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই সেদিকে গেলাম না। তবে সংক্ষেপে বলতেই হয় যে, ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, বাড়িতে নম্বর প্লেট লাগানো ও হোল্ডিং ট্যাক্স, এডিপি থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ, কাবিখা, টাবিখা, সোলার প্রকল্প, ট্রেড লাইসেন্স, ব্রিকফিল্ড এমনকি মানুষের জন্ম-মৃত্যু সনদ থেকেও টাকা আত্মসাতে বিবেকে বাধেনি এই ‘জনপ্রতিনিধি’র। তাছাড়া নিজের ভাইকে দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, সালিশের নামে চাঁদাবাজি এবং ইয়াবা ব্যবসায়ের পৃষ্ঠপোষকতা দানের অভেযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবার আমরা দুই মানিকের তুলনামূলক আলোচনা করতে পারি। একজন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন টানা দুই দশক। অথচ রাজধানী বা ওই রাজ্যের অন্যত্র একটি বাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। আর আমাদের মানিক ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার সাড়ে চার বছরের মাথায় বনে গেছেন কোটিপতি! এ যেন আলাদিনের চেরাগের কেরামতি! কী করে এটা সম্ভব, ভাবলে মাথা চক্কর দেয়। রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর তুলনায় একটি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ অতি নগণ্য সন্দেহ নেই। মানিক সরকার যদি চাইতেন তাহলে রাজধানী আগরতলায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ির মালিক হওয়া তার জন্য কোনো ব্যাপারই ছিল না। যে চেরাগ তিনি হাতে পেয়েছিলেন, তাতে একটু ঘষা দিলেই কন্ট্রাক্টর-সাপ্লাইয়াররূপী দৈত্যরা নিমিষেই হাজির হয়ে যেত ‘হুকুম করো মালিক’ বলে। তিনি বনে যেতে পারতেন বিলাসবহুল প্রাসাদ এবং গাড়ির মালিক। কিন্তু তিনি হাতে পেয়েও সে চেরাগে ঘষা দেননি। কেননা তিনি নিজেকে ক্ষমতার মালিক মনে করেননি। বরং জনগণের সেবক ভেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিবিষ্টচিত্তে। অন্যদিকে তাকানোর ফুরসত বা ইচ্ছা তার ছিল না। অপরদিকে আমাদের মানিকেরা একের পর এক স্থাপন করে যাচ্ছেন ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত!

মানিক সরকারদের কাছে রাজনীতি হলো মানবসেবার ব্রত। তারা রাজনীতি করেন দেশ ও জাতির সেবায় নিজের অবদান রাখার জন্য। আর আমাদের দেশে হাল আমলে কিছু রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর কাছে রাজনীতি হলো আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার মোক্ষম হাতিয়ার। তারা রাজনীতিতে নাম লেখান কাম বাগানোর জন্যই। নীতি-আদর্শের কথা তারা বলেন ঠিকই, তবে তা হূদয়ে ধারণ করেন না। তাদেরকে মৌখিক আদর্শবাদী বলা যায়, মৌলিক নয়। রাজনীতিকে অর্থ-বিত্ত কামাইয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারে যারা প্রবৃত্ত হয়ে থাকেন, তাদের কাছে দলীয় আদর্শ একেবারেই গৌণ। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য এরা ভোল এবং বোল সহজেই পাল্টাতে পারেন। সরকার বদলের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তারা পুরনো জার্সি খুলে ফেলে নয়া জার্সি গায়ে চড়িয়ে নেন।

আমাদের রাজনীতির যারা পূর্বপুরুষ, তাদের অধিকাংশই সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিত্তশালী পরিবারে জন্ম নেয়া কিংবা স্বীয় পেশার দ্বারা প্রচুর অর্থ রোজগার করেছেন। কিন্তু তারা যাপন করেছেন অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন। তারা কেউ শিক্ষকতা করে সংসার চালিয়েছেন, কেউ আইনপেশায় পসার জমিয়ে আয় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ; যার সিংহভাগ ব্যয় করেছেন রাজনীতিতে। দলের কাছ থেকে গ্রহণ নয়, বরং দলকে দিয়েছেন অকাতরে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, জওয়াহের লাল নেহরু, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান— এঁরা রাজনীতিকে শুধু দিয়েই গেছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই সরকারে গিয়েছিলেন, হয়েছিলেন ক্ষমতাধর মন্ত্রী বা সরকারপ্রধান। কিন্তু সরকার বা রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত অর্থ-সম্পদ অর্জনের বিপথে তারা চালিত হননি। তাঁদের চরিত্রবল এতটাই মজবুত ছিল যে, হাতের নাগালে সেরকম সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা সেদিকে নজর দেননি। তাদের চিন্তা-চেতনা, ভাবনা-কল্পনা সবকিছুই আবর্তিত হতো দেশ ও মানুষের কল্যাণচিন্তাকে কেন্দ্র করে। দেশ ও মানুষের ভাবনা যাদের মনকে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন করে রাখে, নিজের কথা ভাবার সময় কোথায় তাদের? আর সেজন্যই কখনো শোনা যায়নি তারা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, কিংবা ভাই-ভাগ্নে-ভাতিজাদের টেন্ডার বাগানোতে মদত দিয়েছেন। আর সে কারণেই তারা আজো রাজনীতির আলোচনায় প্রাসঙ্গিক, প্রাতঃস্মরণীয়।

আজ পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। শতাব্দীর পথপরিক্রমায় এ বিশ্বের অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে, অগ্রগতি হয়েছে। অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সেসবের সঙ্গে রাজনীতিতেও এসেছে পরিবর্তন। তবে আমাদের দেশে পরিবর্তনটা নেতিবাচক বেশি। এখন একজন নিম্নপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মীকেও বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে দেখা যায় কোনোরকম দৃশ্যমান পেশা বা ব্যবসা ছাড়াই। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কোষাধ্যক্ষ ছিলেন ইয়ার মোহাম্মদ খান (বর্তমানে মরহুম); যাঁর কানরকুনবাড়ি লেনের বাড়িতেই আওয়ামী লীগের প্রথম অফিস ছিল। ঢাকায় তার অনেক বাড়ি ছিল। কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী একজন রাজনৈতিক গবেষককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ইয়ার মোহাম্মদ খানের ঢাকায় অনেকগুলি বাড়ি ছিল। তিনি একটি করে বাড়ি বিক্রি করেছেন আর রাজনীতি করেছেন। আর এখন অনেকেই রাজনীতিতে এসে বাড়ি করেন।’  বাস্তবতাকে যদি আমরা অস্বীকার না করি, তাহলে ইয়ার মোহাম্মদ খানের স্ত্রীর কথার যথার্থতা মেনে নিতে আপত্তি থাকার কথা নয়।

রাজনীতিকে বিত্ত গড়ার হাতিয়ার বানিয়ে ফুলেফেঁপে ওঠার দৃষ্টান্তের অভাব নেই আমাদের দেশে। নানা সময়ে এদেরকে নানারূপে দেখা গেছে। কখনো রিলিফ আত্মসাৎকারী, কখনো প্রকল্পের টাকা হরণকারী, কখনো টেন্ডারবাজ, কখনো বা জুয়ার আসরের সম্রাট। এদের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, দেশে-বিদেশে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা, এমনকি কারো বাড়িতেই পাওয়া গেছে নগদ ছাব্বিশ কোটি টাকা এবং পাঁচ শতাধিক ভরি স্বর্ণ। ভাবা যায়, থানা পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক কর্মীর বাড়িতে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভল্টের চেয়েও বেশি নগদ অর্থ লুকিয়ে রাখা হয়! কিংবা যখন খবর বেরোয় কোনো এক জেলার নেতা বিদেশে পাচার করেছেন দুই হাজার কোটি টাকা, সঙ্গত কারণেই তখন রাজনীতির সংজ্ঞা জনমনে কি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে না? রাজনীতি করলেই ‘বড়লোক’ হওয়া যায়— এমন একটি ধারণা জনমনে বেশ পোক্ত হয়ে বসে গেছে সাম্প্রতিক সময়ে এসব কারণেই।

তারপরও রাজনীতি আছে এবং থাকবে। কিছু দুর্বৃত্ত এটাকে ব্যবহার করবে উপরে ওঠার সিঁড়ি এবং বিত্ত-বৈভব কামানোর বাহন হিসেবে। আর এরই মধ্যে কিছু নিষ্ঠাবান রাজনীতিক থাকবেন ত্রিপুরার মানিক সরকারের মতো; যারা নিজেকে বিলিয়ে দেবেন রাজনীতির জন্য, মানুষের জন্য। বলা নিষ্প্রয়োজন, শেষোক্তদের কারণেই রাজনীতি টিকে থাকবে। নিষ্ঠাবান মানুষেরা এখানে আসবেন তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে। সাধারণ মানুষও তাদেরকেই রাজনীতিতে চায়, যারা আপন স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবেন। আমরা মানিক সরকারের মতো ব্যক্তিদের রাজনীতিতে চাই, বশির আহম্মেদ মানিকদের নয়। তবে এ প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, সেটা অবশ্য প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads