• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

সালতামামি-২০২০

মহামারী, রাজনীতি ও অন্যান্য কথন

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে এ লেখাটিই হবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের খবরে প্রকাশিত আমার শেষ লেখা। পরবর্তী যে তারিখে আমার লেখা প্রকাশিত হওয়ার কথা, তা আসতে আসতে আমরা ২০২০ সাল অতিক্রম করে যাব। ফলে গত বছরকে নিয়ে একটু আগেই পর্যালোচনা করা অসঙ্গত হবে বলে মনে হয় না। গত বছরে আমাদের দেশে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা; যা শুধু আমাদের দেশ নয়, গোটা পৃথিবীকে ওলটপালট করে দিয়েছে। এ যেন কোনো গেরস্তের পরম যত্নে সাজানো বাগানে উন্মত্ত ষাঁড় ঢুকে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেওয়ার মতো।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরী থেকে আগের বছরের একেবারে শেষদিকে যে ভাইরাসের উৎপত্তি, তা ২০২০ সালে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা পৃথিবীতে। আমাদের দেশও এর বাইরে থাকতে পারেনি। উহানে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও আমাদের দেশে এর অনুপ্রবেশ ঘটে ২০২০-এর মার্চের প্রথম দিকে। তারপর থেকে এই ভাইরাস আমাদের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করেছে, অর্থনীতিকে স্থবির করেছে, পাশাপাশি নানা কেলেঙ্কারির উৎস হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে। এ নিবন্ধ লেখার সময় পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সারা পৃথিবীতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৭২ হাজার ২৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৪৪ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭৭ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭১৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৭ হাজার ২৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকায়। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৯, মারা গেছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ২২ হাজার ৮২ জন। এ হিসাব ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ লেখা বেরোনো পর্যন্ত তা আরো বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুঃসংবাদের পাশাপাশি একটি সুখবরও বিশ্ববাসী চলতি বছরই পেয়েছে। এ মহামারীর প্রতিষেধক আবিষ্কার এবং তা মানবদেহে সফল প্রয়োগের আশাপ্রদ খবরটি এ বছরই আমাদের গোচরে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক বছরের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুভীতি থেকে পৃথিবী রক্ষা পাবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে যে সংবাদটি আমাদের বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ করেছে তাহলো, এই মরণঘাতী রোগকে পুঁজি করে কিছু ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ, জেকেজির সাবরিনা-আরিফসহ বেশ কয়েকজন। মানুষের জীবন-মৃত্যুর বিষয়কে নিয়ে যে এমন গর্হিত কাজও কেউ করতে পারে, শাহেদ-সাবরিনার কাহিনী না জানলে তা আমাদের অগোচরেই থেকে যেত। তবে আশার কথা হলো, এরা কেউই আইনের হাতকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। তারা এখন আইনের হাতে বন্দি। বিচারের সম্মুখীন। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবেন এটা সবাই আশা করেন।

গেল বছরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাজীবনের আপাত অবসান। করোনা সংক্রমণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাটি ঘটে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে তার দল বিএনপি তার মুক্তির জন্য কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি। প্রথমে তারা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে প্রত্যয় বাস্তবে রূপ নেয়নি। পরে তারা বার বার ‘দুর্বার’ গণআন্দোলনের হুংকার দিলেও তা ছিল অশ্বডিম্বের মতোই অলীক। আন্দোলনে নেত্রীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ বিএনপি সরকারের সাথে সমঝোতাও করতে পারেনি এ বিষয়ে। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পরিবারের উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ঘটনাটি ঘটে এবং তিনি মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন। বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম এস্কেন্দার মানবিক কারণে তার মুক্তি প্রার্থনা করে সরকারের বরাবরে আবেদন করেছিলেন। সরকার সে আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- তিনি এই সময়ের মধ্যে বিদেশে যেতে পারবেন না, কোনো রাজনৈতিক তৎপরতায় অংশ নিতে পারবেন না। ২৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অনেকে মনে করেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করেছে। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বাসায় ফিরে এলেও তার দল বিএনপি রয়েছে আগের অবস্থাতেই। দ্বন্দ্ব-কোন্দল আর নেতাদের পারস্পরিক বৈরিতা দলটিকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরে তার ছেলে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে; যিনি নিজেও আদালত কর্তৃক দণ্ডিত এবং দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। গোটা বছরজুড়েই সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিএনপির বিপর্যস্ত অবস্থার খবর বিভিন্নভাবে শিরোনাম হয়েছে। দলটিকে সুসংগঠিত করা ও শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নানা উদ্যোগের খবর গণমাধ্যমে এলেও সেগুলোর কার্যকারিতা খুব একটা দেখা যায়নি। উল্টো এমন সব ঘটনা ঘটেছে, যা দলটির অভ্যন্তরে অধিকতর বিশৃঙ্খলার বিষয়টিকে প্রকাশ্য করে দিয়েছে। এরই মধ্যে দল পরিচালনা নিয়ে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের কারো কারো মনকষাকষি এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজনের দল থেকে সরে যাওয়ার ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তাদের কারো কারো প্রকাশ্যে মন্তব্য, শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে খোলামেলা সমালোচনা দলের মধ্যে বিভেদের বিষয়টিকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। অক্টোবর মাসে বিএনপির তিন ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর হাফিজউদ্দিন আহমদ (অব.) এবং মেজর ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের চাঁছাছোলা বক্তব্য তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বছরের একেবারে শেষ মাথায় এসে ১৪ ডিসেম্বর দলের গুটিকয় নেতাকর্মীর মিছিল ও রাজপথ অবরোধের ঘটনার জন্য দায়ী করে ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজউদ্দিন (অব.) এবং শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করে। শওকত মাহমুদ চিঠির মাধ্যমে ও মেজর হাফিজ কেন্দ্রীয় দপ্তরে চিঠি প্রেরণের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন করেও শোকজের জবাব দিয়েছেন। এর একদিন পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক হলেও এই দুই নেতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা আসেনি। অনেকে বলছেন, এ বিষয়টিও হয়তো অন্য অনেক বিষয়ের মতো অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যেতে পারে।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বছরটি কাটিয়েছে নানা ঝক্কি-ঝামেলায়। সরকারে থাকার কারণে তাদের সাংগঠনিক অভ্যন্তরীণ ঝামেলা যদিও অতটা প্রকাশ্যে আসেনি, তবে দলীয় কোন্দলের জেরে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত সংঘর্ষের খবর কম পাওয়া যায়নি। এছাড়া দলের কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড তাদের মাঝেমধ্যেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তাদের মতে হয়নি এটা ঠিক। তবে নিজ দলের কর্মীদের সামাল দিতেই নেতারা হিমশিম খেয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের অনৈতিক কায়কারবার দলটির ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন করেছে। বিশেষ করে শাহেদ ও পাপিয়ার কাণ্ডকীর্তি আওয়ামী লীগের জন্য তৈরি করেছিল বিব্রতকর পরিস্থিতি। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি এবং নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্তির বিষয়টি আওয়ামী লীগকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছে। তা ছাড়া ছোট-বড় অনেক দুর্নীতির সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা তাদের ভাবমূর্তির জন্য ছিল ক্ষতিকর।

গত বছরেও রাজনৈতিক পরিবেশের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভগ্নদশা যেমন আলোচনায় ছিল, তেমনি সরকারের দলীয় কর্মী-ক্যাডার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপের মুখে তাদের মাঠে নামতে না পাড়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে সর্বত্র। ঢাকা সিটির দুই করপোরেশনসহ কয়েকটি সংসদীয় আসনে  উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে এ বছর। কিন্তু চিত্র ছিল গত কয়েক বছরের মতোই। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল নগণ্য, তবে গণনায় হাজার হাজার এমনকি লাখো ভোটের অস্তিত্ব ধরা পড়া ছিল একরকম অলৌকিক ব্যাপার। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের অনাগ্রহকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল অশনিসংকেত হিসেবেই দেখছেন। এটা রাজনীতি থেকে দেশবাসীর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ারই ইঙ্গিত বহন করে বলে তারা মনে করছেন। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি বাহিনীর জুলুম-নির্যাতনের অভিযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্বের মতোই চলমান ছিল। পুরো বছরের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহকে আমলে নিলে এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক কোনো উন্নতির নিশানা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

এদিকে আগের বছরগুলোর চেয়ে দুর্নীতি কোনোভাবেই কমেনি, বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা বেড়েছে অনেকাংশে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় তা উঠে এসেছে। রাষ্ট্রীয় অর্থের বেসুমার লুটপাট এবং সেইসঙ্গে বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে ওঠার কাহিনী সামনে চলে আসায় সরকারকে নতুন করে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। পি কে হালদার নামের এক অর্থদুর্বৃত্তের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবর ছিল বছরের আলোচিত ঘটনা। শত চেষ্টা করেও সরকার না টাকা, না সেই দুর্বৃত্তকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তোলার এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণকারী ‘সাহেব’দের তালিকা জমা দিতে দুদককে জোরালো তাগিদ দিয়েছেন। তবে সে তালিকা কবে প্রস্তুত হবে বা আদৌ কোনোদিন তা প্রস্তুত হবে কি না সে সম্পর্কে অনেকেই সন্দিহান।

সামাজিক পরিস্থিতি ছিল আগের বছরগুলোর মতোই। সন্ত্রাস, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ, গুম হ্রাস পায়নি এতটুকু। এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন দুচার দশটা খুন ধর্ষণের খবর পত্রিকায় বেরোয়নি। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  কতিপয়  সদস্যের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ছিল শরীর শিউরে ওঠার মতো। কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর তাদের অপকর্মের জন্য সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি অনেকাংশেই ক্ষুণ্ন করেছে।

এসব নেতিবাচক খবরের মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ও আশাপ্রদ খবর হলো বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান স্থাপন; যেটি বসানোর সাথে সাথে পদ্মা নদীর দুই প্রান্ত কার্যত সংযুক্ত হয়েছে। অনেকেই বলছেন যে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা অর্জনের পর, এটা আমাদের দ্বিতীয় সেরা অর্জন। কারণ এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে আমাদের নিজস্ব অর্থে। আর এমন একটি দুঃসাহসী কাজে হাত দিয়ে তা সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই ধন্যবাদার্হ।

বছরটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আসছে আরেকটি নতুন বছর। প্রতি বছরের মতো এবারো আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের প্রত্যাশা করব। কেননা আশাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আগামী বছরটি আমাদের জন্য নতুন কোনো শুভবার্তা নিয়ে আসবে এবং খুলে দেবে সম্ভাবনার নতুন কোনো দুয়ার, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। বাংলাদেশের খবরের প্রতিটি পাঠককে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক     

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads