• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

বাইডেনের চ্যালেঞ্জ

  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাশেদ আহমেদ

 

 

২০২১ সালে ২০ জানুয়ারি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে আবারো নতুন সূর্য উদিত হয়। এদিন অতিথিকে বরণ করার জন্য প্রকৃতি সেজেছিল নতুন সাজে এবং সেইসাথে ক্যাপিটাল হিলের আকাশ ছিল যেন স্বচ্ছ-হাস্যোজ্জ্বল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের সংশয়, অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘনিঃশ্বাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদীর্ঘ ইতিহাসের পথচলায় ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে পবিত্র বাইবেলে হাত রেখে ৩৫ শব্দের শপথপত্র পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জো বাইডেন। অপরদিকে মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমলা হ্যারিস মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে কমলা হ্যারিস সিনেট থেকে পদত্যাগ করেছেন।

জো বাইডেন শপথগ্রহণ পরবর্তী জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণে স্বাভাবিকভাবেই বিভেদ ভুলে ঐক্যের ডাক দেন। উল্লেখ্য করেন, আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়। এমন ঐক্যের আহ্বান বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের বিভেদের রাজনীতিতে কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা নিকট ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অগণিত  অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে জো বাইডেন প্রশাসনকে। যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উল্লেখযোগ্য সমস্যার দিকগুলো হচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্রের বিভক্ত জনগণকে একই সূত্রে আবদ্ধ করা, করোনাভাইরাসের মতো কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া, অর্থনীতির ধস মোকাবিলা, বেকারত্ব ও বর্ণবাদের মতো কঠিনতর সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জো বাইডেন প্রশাসনের ফরেন পলিসির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জসমূহ হচ্ছে—প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন, পুনরায়  ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা, চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিকরণ, মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যু নিয়ে নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করা। তবে অতীতের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জো বাইডেন প্রশাসনের জন্য কঠিনতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবী সমাজ।

বলতে সংকোচ নেই, বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের নেতৃত্ব প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অঙ্গনে বিভেদ আর দ্বন্দ্বের জাল দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিভেদের জাল একদিনে সৃষ্টি হয়নি। জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। অতিসূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির অভ্যন্তরে বৃহত্তর দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের মধ্যে মতভেদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় গত ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটাল হিলের নির্লজ্জ তাণ্ডব ও সহিংসতা। এতে নিমেষেই বিশ্ববাসীর কাছে উন্মোচন হয় যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের ভেতরের রাজনীতির বাস্তবচিত্র। কার্যত, এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাজার হাজার রিপাবলিকান উগ্র সমর্থক জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেয়নি। এমনকি শপথের দিনেও তারা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ঐক্যবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। ভোটের রাজনীতিতেও তার ফল ছিল স্পষ্ট। বাইডেন পেয়েছেন ৮ কোটি ১০ লাখ ভোট। অপরদিকে, মার্কিন ইতিহাসে পরাজিত প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন ৭ কোটি ৪০ লাখ। ভোট পার্থক্যের ব্যবধান করলে দেখা যায় মাত্র ৭০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছেন জো বাইডেন। সুতরাং দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলা যায়, জো বাইডেন প্রশাসনের ঘরোয়া রাজনীতির প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ করা, সেইসাথে ডেমোক্রেটিক দলের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা।

বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় প্রকোপ চলমান। অদৃশ্য এক ভাইরাসের কাছে গোটা বিশ্ব আজ একরকম বিপর্যস্ত। থমকে গেছে পৃথিবীব্যাপী চিরাচরিত নিয়মনীতি। আবারো লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আজ কোভিড-১৯ মহামারীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে গোটা বিশ্ব।

জো বাইডেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি প্রথম কার্যদিবসেই ১৭টি কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া করোনা দ্রুত পরীক্ষা ও শনাক্তকরণে উদ্যোগ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান বিশ্বে সর্ববৃহৎ অর্থনীতির ও সামরিক পরাশক্তি দেশ। তাদের অর্থনীতির পরিমাণ ২১.১ ট্রিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ওয়াশিংটনের অর্থনীতির মন্দা ভাব লক্ষণীয়। জো বাইডেন প্রশাসন অর্থনীতি বাঁচাতে ইতোমধ্যে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা বিপর্যস্ত ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা সর্বোপরি সাধারণ জনগণকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের অধিক, যা ১৯৩০ সালে বিশ্ব  মহামন্দার পর এখন সর্বোচ্চ। তবে এখন কিছুটা বেকারত্বের হার কমেছে। শ্রম বিভাগের তথ্যমতে, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে তাদের তিন-চতুর্থাংশ বেশি মানুষ কর্মহীন, যা নিকট ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বেগজন। অপরদিকে বেইজিংয়ের অর্থনীতির সাথে নিকট ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনের অর্থনীতির প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমান চীনের মোট অর্থনীতির পরিমাণ প্রায় ১২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ চীনের অর্থনীতির পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। এমন কঠিন বাস্তবতা খুব সহজে মেনে নেবে না ওয়াশিংটন তা অনুমেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের মতো নিকৃষ্ট সমস্যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে তীব্র আকার ধারণ করেছে। ট্রাম্প সদ্য সাবেক হয়ে গেলেও বর্ণবাদের মতো কঠিনতর সমস্যা জো বাইডেনের সময়ে রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। একটু পেছনের দিকে ফেরা যাক। মার্কিন ইতিহাস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু তার দীর্ঘ আট বছরের শাসনকালেও বর্ণবাদ নিরসনে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। যার ফল হিসেবে বর্ণবাদের মতো কঠিন সমস্যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। গবেষণার তথ্যমতে, তিন দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে শ্বেতাঙ্গের চাইতে কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়। যার নির্লজ্জ উদাহরণ হয়ে থাকবে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড। জো বাইডেন প্রশাসনে ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গ অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল লিওড অস্টিন, যা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। কার্যত বর্ণবাদের সমস্যা মার্কিন ইতিহাসে কালো এবং পুরাতন অধ্যায়। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না, জো বাইডেন শাসনকালে জনগণের প্রত্যাশা থাকবে বর্ণবাদের দীর্ঘদিনের অভিশাপ থেকে যেন নিস্তার মিলে।

মার্কিন ইতিহাসের মৌলিক মূলনীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ক্ষমতার রদবদল হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মূলনীতি অথবা বৈদেশিক নীতির বড়ো কোনো পরিবর্তন হয় না। তবে সেই চিরাচরিত ঐতিহ্যের দূরত্ব সৃষ্টি হয় সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্টের শাসনকালে। তবে আবারো পুরাতন বৈদেশিক নীতিতে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জো বাইডেন। ফলে তিনি ইতোমধ্যে কার্যনির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৭টি মুসলিম দেশ থেকে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন, মেক্সিকো দেয়াল নির্মাণ বন্ধ, অভিবাসী নীতি সহজীকরণসহ একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সেইসাথে বহুলপ্রতীক্ষিত ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ফের আলোচনায় বসবে জো বাইডেন প্রশাসন। মোদ্দা কথা, বারাক ওবামার বৈদেশিক নীতির দিকে পুনরায় ফিরে যাবেন জো বাইডেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজ কক্ষপথে ফেরার অধ্যায় শুরু করল জো বাইডেন প্রশাসন। তিলে তিলে গড়ে তোলা দীর্ঘ ৫০ বছরের লালিত স্বপ্ন গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন অভিজ্ঞ ও ঝানু রাজনীতিবিদ জো বাইডেন। সেইসাথে চার বছর পর আবারো ক্ষমতার মসনদে অর্থাৎ হোয়াইট হাউসের দখলে ফিরল ডেমোক্র্যাটরা। অপরদিকে আপাতদৃষ্টিতে পরিসমাপ্তি ঘটল মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে নিন্দিত, সমালোচিত ও একঘেয়েমি হিসেবে খ্যাত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধ্যায়। তিনি ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দুবার সিনেটের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হলেন। সেইসাথে সিনেটে দ্বিতীয়বার উচ্চকক্ষে অভিশংসনের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছেন ডেমোক্র্যাটরা। যদিও চূড়ান্ত অভিশংসন প্রক্রিয়া সহজ হবে না বলে মনে করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তবে এক্ষেত্রে সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় কিছুটা সুবিধা পেলেও দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন আদায় দুষ্কর। বলা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন রাজনীতিতে যে বিভেদের লেলিহান শিখা প্রজ্বলিত করে গেলেন তা নিঃসন্দেহে মার্কিন ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ জো বাইডেনের হাত ধরে নতুন অধ্যায় শুরু করল, যেখানে তাকে মোকাবিলা করতে হবে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন—জো বাইডেন প্রশাসনকে বৈদেশিক চ্যালেঞ্জের তুলনায় ঘরোয়া রাজনীতিতে সবার আস্থা অর্জন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। কার্যত, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সামাল দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে পুনরায় নিজের অবস্থান পুনর্দখল করা নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে বলা যায়, ক্লান্তিলগ্ন সময়ে অভিজ্ঞ জো বাইডেনের কাঁধে আগামীর যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ মেরামতের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, যা সন্দেহাতীতভাবে জনগণের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস।

 

লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads