• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

নতুন বছরে পুরনো ভাবনা 

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০২২

এই লেখাটি যেদিন বেরোবে, সেদিন ২০২২ সালের দ্বিতীয় দিন। অর্থাৎ এর আগের দিন আমরা একটি নতুন বছরে পা দিয়েছি। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা আর অঘটনের সাক্ষী হয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ২০২১ খ্রিস্টাব্দ। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ওই বছরটি আর কখনো আমাদের কাছে ফিরে অসবে না। তবে বছরটিতে সংঘটিত নানা ঘটনা অমাদের স্মরণে থাকবে বহুদিন। কিছু কিছু ঘটনা স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়। স্বভাবতই মানুষ অনেক আশা নিয়ে নতুনকে স্বাগত জানায়। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। পুরনো সব দুঃখ-কষ্ট, ক্লেদ-ক্লেশ, হানাহানি-সহিংসতার কথা ভুলে গিয়ে একটি শান্তিময় বছরের প্রত্যাশায় আমরা সাধারণত নতুন বছরকে বরণ করে থাকি। কিন্তু আমাদের সে প্রত্যাশা বেশিরভাগ সময় পূরণ হয় না। যেমন গত বছরটি যখন এসেছিল, বাজি পুড়িয়ে হল্লা করে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। সবাই ভেবেছিলেন একটি আনন্দময় বছর হয়তো আমরা পাবো। কিন্তু সালতামামিতে হিসাব মেলেনি।

গত বছরটি ছিল ঘটনাবহুল। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দাপট আমাদেরকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। তবে বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভাইরাসটির প্রকোপ অনেকাংশেই হ্রাস পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আছি আমরা। যদিও এখনো তা নির্মূল হয়নি। বরং ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রণের আক্রমণের শঙ্কায় আছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও এর প্রভাবে আমাদের অর্থনীতি যে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে, তা এখনো সামলে ওঠা যায়নি। বড় বড় শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারির প্রণোদনা পেয়ে কিছুটা সামলে নিতে পারলেও মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখনো রয়েছেন সংকটে। মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষেরা রাজধানী ও বড় শহরগুলো থেকে গ্রামে চলে গেছেন জীবন-জীবিকা রক্ষায়। রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি গলিতে এখনো অনেক বাড়িতে ‘টু-লেট’ লেখা নোটিশ দেখতে পাওয়া যায়। অর্থনীতিবিদগণ আশংকা করছেন, করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি আবার স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে। বছরটি ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বছর। চাল-ডাল, তেল, মাছ-মাংস তরিতরকারিসহ নিত্য দরকারি পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। কমার লক্ষণ নেই। নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষেরা সংসার চালাতে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন।

রাজনীতির ক্ষেত্রে গেল বছরটি ছিল অনেকটাই পানসে। সরকার মাঠ দখল করে রেখেছিল এককভাবে। করোনার কারণে বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত রাজনীতির বল মাঠে গড়াতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতারা ঘরে বসেই বিবৃতি বা ভার্চুয়ালি সংবাদ ব্রিফিং করে তাদের উপস্থিতির জানান দিয়েছেন। করোনার প্রকোপ সহনীয় পর্যায়ে আসার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ শুরু করে। তবে তাদের কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ তেমন দেখা যায়নি। নিরুত্তাপ সে রাজনৈতিক পরিবেশে আলোচিত বিষয় ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার চিকিৎসা। সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া বর্তমানে দুরারোগ্য লিভার সিরোসিসে আক্রন্ত। তার অন্ত্রে মাঝে মাঝেই রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসকগণ পরিষ্কার করেই বলেছেন, বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যে অবস্থা তাতে দেশে তার সুচিকিৎসা সম্ভব নয়। তারা পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র অথবা জার্মানিতে তাকে চিকিৎসার্থে পাঠাতে। বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানো হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার। এ লক্ষ্যে তারা বছরের শেষ মাসে বেশ কিছু প্রকাশ্য কর্মসূচিও পালন করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার সরকারের কাছে এ মর্মে আবেদনও করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত সে আবেদনে সরকার ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। সর্বশেষ খবর হলো, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অবেদন বিষয়ে নেতিবাচক অভিমত দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১)। বোঝা যাচ্ছে, তার আবেদন নাকচ হতে চলেছে। তবে সচেতন ব্যক্তিরা এখনো আশা করছেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ নয়, সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি শেষ পর্যন্ত হয়তো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখন রাজনীতির মাঠে একা খেলছে, এটা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। বিএনপির হীনবল অবস্থা তাদেরকে একচ্ছত্রাধিপতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। শক্ত কোনো প্রতিপক্ষ তাদের সামনে না থাকায় পুরোটা বছরই রজনীতি ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বছরের শেষ দিকে এসে যেন ঘরের আগুনে পুড়তে বসেছে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের পাইকারি হারে পরাজয় দলটিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চার ধাপের নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। অনেক জায়গায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য এটা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় নেতারা মনোনয়ন বাণিজ্য করে অযোগ্য ও জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পদ্ধতি প্রবর্তনের কুফল হিসেবে দেখছেন বিষয়টিকে। তারা বলছেন, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নিজেদের ছোড়া তীরে নিজেরাই বিদ্ধ হয়েছে। অবশ্য বিরুদ্ধবাদীরা এই নৌকাডুবিকে ক্ষমতাসীন সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাসের পরিমাপক হিসেবে দেখছেন।

অন্যদিকে বিএনপির অবস্থার মোটেও উন্নতি হয়নি। সারা বছর ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করে অস্তিত্ব জানান দিলেও বছরের শেষ সময়ে এসে সাংগঠনিক পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে দলটিতে সৃষ্টি হয়েছে লেজেগোবরে অবস্থা। দলকে গতিশীল করা এবং আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য পুরনো দক্ষ নেতাদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছেন বরিশাল বিএনপির কান্ডারি হিসেবে পরিচিত সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সরোয়ার, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং দলের প্রভাবশালী নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ। এরা সবাই বিএনপির নিবেদিত এবং কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সুপরিচিত। জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় তারা ব্যয় করেছেন দলের জন্য। দলকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু হাইকমান্ডের রোষানলে পড়ে তারা তাদের দলীয় পদ হারিয়েছেন। এসবই পত্র-পত্রিকার খবর। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুনর্গঠনের নামে দলের একটি চক্রের নীলনকশার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ। যদিও তা এখন পর্যন্ত ধূমায়িত আগুনের মতোই ভেতরে ভেতরে জ্বলছে। তবে অচিরেই যে সে আগুন দাবানল হয়ে উঠবে না, সে কথা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না। যার লক্ষণ স্পষ্ট হয়েছে খুলনায় মঞ্জু সমর্থক ৫৬১ জন নেতাকর্মীর পদত্যাগে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নেতৃত্বে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে দলটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়তে পারে। সারা বছরের নিকেশে এটা বলা বোধকরি অসমীচীন নয় যে, ২০২১ সালটি বিএনপির জন্য মোটেও সুখকর ছিল না।

গত বছরের আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল ই-কমার্সের নামে প্রতারণা। প্রায় সব ক’টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। দু’একটি ঘটনায় প্রতারকচক্রের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও গ্রাহকরা তাদের অর্থ ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশের একজন এসআই টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে গেছে। সরকার এখনো তার টিকিটি পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি।

নভেম্বর মাসে রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে চাপা পড়ে দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আবারো রাজপথে নেমে এসেছিল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাদের সে আন্দোলন ২০১৮ সালের মতোই দানা বেঁধে উঠতে শুরু করেছিল। সে সাথে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি যুক্ত হয়ে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপের কারণে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারেনি। শিক্ষাথীদের দাবি মেনে নিয়ে সরকার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে সমঝোতায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই সামাল দিয়েছে। তবে সড়ক এখনো নিরাপদ হয়নি। এখনো প্রতিদিন দু’চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর ছাড়া পত্রিকা প্রকাশিত হয় না। 

বছরের একেবারে শেষ দিকে এসে সংঘটিত একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সবাইকে বেদনার্ত করেছে। ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক। ইঞ্জিনরুম থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুন গ্রাস করেছিল সমগ্র লঞ্চটিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গণমাধ্যমে যেসব খবর এসছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, লঞ্চ মালিকের অবহেলা, চালকসহ স্টাফদের অসতর্কতা এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে গাফিলতির কারণে অগ্নিকাণ্ডটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। লঞ্চটির মালিক হাম জালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সে বলেছে তিনটি বড় ভুলের কারণে তার লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভুলগুলো হলো— অনুমোদন ছাড়াই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন সংযোজন, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে লঞ্চটি চালানোর নির্দেশনা এবং আগুন লাগার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। এ স্বীকারোক্তি তার অপরাধকে নিশ্চয়ই লাঘব করবে না। এত বড় একটি জলযানে একটিও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকা আরেকটি অপরাধ। এ দুর্ঘটনা আরেকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে, তাহলো সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের যথাযথ দায়িত্ব পালন না করা। লঞ্চটির ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এতগুলো ত্রুটি থাকার পরেও কীভাবে লঞ্চটি চলাচলের অনুমতি পেল, তা এক রহস্যময় ব্যাপার। অনুমান করা কষ্টকর নয়, মালিক পক্ষের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে না দেখেই হয়তো ইন্সপেকশন রিপোর্ট দিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। অবহেলাজনিত অপরাধে লঞ্চটির মালিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এ খবর আমরা সংবাদমাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু যারা এই ত্রুটিযুক্ত জলযানটিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে খবর এখনো পাওয়া যায়নি। হয়তো লঞ্চ মালিক আর কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার ডামাডোলে সরকারি ওই কর্মকর্তাদের বিষয়টি আড়াল করা হতে পারে। এসবই অনুমানের কথা। বিশেষত আমরা তো ঘরপোড়া গরু। সিঁদুরে মেঘ দেখলেই আঁৎকে উঠি। অতীত অভিজ্ঞতাই এসব ভাবতে শিখিয়েছে আমাদের।

এ কথা অস্বীকার যাবে না, গত বছরটিতে আশাপ্রদ কিছু ঘটেনি। তারপরও মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচে। তাই নতুন বছর আমাদেরকে ভালো কিছু দেবে— এ আশায় বুক বাঁধতে চাই।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক    

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads