• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

লোগো ঢাবি

শিক্ষা

ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

পাসের হার ২৬.২১%

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০১৮-২০১৯) শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ইউনিটে এ বছর পাসের হার ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর ‘ঘ’ ইউনিটের পাসের হার ছিল ১৪ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান ভর্তি অফিসে উপস্থিত থেকে এই ফল প্রকাশ করেন।

এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ৯৫ হাজার ৩৪১ জন, পরীক্ষায় অংশ নেন ৭০ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১৮ হাজার ৪৬৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে বিজ্ঞানে ১১ হাজার ৪০০, মানবিকে ৪ হাজার ১৬৯ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ১৭ হাজার ৯৪ জন যা শতকরা হারে ২৪.৫৬%, ৪৭.৮৯% ও ১৭.৯৪%।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে আগামী ২২ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত এবং বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। ঘ ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৬১৫টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ১১৫২টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ৪১০ ও মানবিকে ৫৩টি। এ ছাড়া বিস্তারিত ফল ও ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। পাশাপাশি যেকোনো অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে।

এদিকে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গতকাল মঙ্গলবার ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফল প্রকাশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মুখে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছিল বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে অতি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিকাল সাড়ে ৩টায় ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর ৮১টি কেন্দ্রে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে অনেক ভর্তিচ্ছুর হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জারে সাদা কাগজে উত্তর লেখা সংবলিত প্রশ্ন আসে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে সাদা খাতার ৭২টি প্রশ্ন ও উত্তরের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ-উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার রাতে জমা দেওয়া হয়।

তদন্তের বিষয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে পরীক্ষা বতিলের মতো কিছু পাওয়া যায়নি। এটা ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির কথা স্বীকার করে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা স্বীকার করছি যে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। সেই সঙ্গে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা যে আমরা জালিয়াতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। যদি কোনোভাবে কারো বিরুদ্ধে জালিয়াতি প্রমাণিত হয় তবে তাকে বহিষ্কার করা হবে। সেক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব।

পরীক্ষার ভালো ফলের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলা এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গের প্রশ্নগুলো সাবলীল হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা ভালো করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads