বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রাস্টগুলোর মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে কবে নাগাদ এটি কার্যকর হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সেখানেই তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ইনক্রিমেন্টের জন্য বাড়তি ৫৩১ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা লাগবে। আর বৈশাখী ভাতার জন্য লাগবে ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ওই অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সরকার ২০১৫ সালে অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা চালু করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলা নববর্ষে তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতা পান। ওই বেতন কাঠামোতেই আগের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের নিয়ম বাতিল করে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের নিয়ম চালু করা হয়। দেশের প্রায় ২৮ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ওই দুটি সুবিধা চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। নির্বাচনের আগে তাদের সেই দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল গণভবনের অনুষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ডে ১০ কোটি এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদানও দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কল্যাণ ট্রাস্ট, সংস্কৃতিসেবী কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা করে এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট এবং ঈমাম ও মোয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে দেওয়া হয় ৫ কোটি টাকা করে অনুদান।