• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
জাবিতে প্রশাসনের ৫ গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল, ভিসি বিরোধীদের অভিযোগ

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা

জাবিতে প্রশাসনের ৫ গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল, ভিসি বিরোধীদের অভিযোগ

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রশাসনের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক পদ অন্যতম। রদবদলের ঘটনায় বর্তমান উপাচার্য বিরোধী আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’র শিক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন, তারা উপাচার্য বিরোধী হওয়ার কারণেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণেই তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অব্যাহতির এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের এমন সিন্ধান্তের সমালোচনা করে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেন উপাচার্য বিরোধী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে শিক্ষকরা বলেন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক খবির উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে তারস্থলে অধ্যাপক এ এ মামুনকে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ও ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)'র পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারকে অব্যাহতি দিয়ে যথাক্রমে অধ্যাপক হানিফ আলি ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুর রশিদকে অব্যাহতি দিয়ে অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল হাসানকে, আরেক অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক তপন কুমার সাহা’র স্থলে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েলকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া সকলেই উপাচার্য বিরোধী শিক্ষক ছিলেন। অন্যদিকে নতুন নিয়োগ পাওয়া সবাই উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।

এদিকে, উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হওয়ায় যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক বশির আহমেদ ও অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও বাদ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের শিক্ষকরা। এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তারা।

মেয়াদোত্তীর্ণদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এটাতে আমাদের কোন নীতিগত আপত্তি নেই। কিন্তু কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে আবার কাউকে রেখে দেওয়া হচ্ছে- প্রশাসনের এমন বৈষম্যমূলক আচরণ শিক্ষকদের মধ্যে সৌহার্দের সংকট তৈরি করবে বলে মনে করেন তারা।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে অব্যাহতি পাওয়া ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক অজিদ কুমার মজুমদার বলেন, কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই আমাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যতদিন দায়িত্বে ছিলাম নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের এমন সিন্ধান্তে আমি হতবাক। নৈতিক কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, যে কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের মেয়াদ শেষ। চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads