• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে রাবি ছাত্রদলের কার্যক্রম

ছাত্রদলের লোগো

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে রাবি ছাত্রদলের কার্যক্রম

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি হয়েছে ২০১৪ সালে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছর মেয়াদী এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় চার বছর আগেই। ফলে কমিটির অনেকেরই ছাত্রত্ব শেষ, কেউ বিবাহিত, চাকুরীজীবী ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে দায়সারাভাব ও নিষ্ক্রিয়তার ভারে নুইয়ে পড়েছে। ফলে একদিকে যেমন সক্রিয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা বাড়ছে, অন্যদিকে কমিটি নিয়ে পদ-প্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই ইমতিয়াজ আহমেদকে সভাপতি ও কামরুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছয় সদস্যের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ১৪৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। পরে হল কমিটি দেওয়া হয়। তবু ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে গতিশীল ও শক্তিশালী বা কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। তাছাড়া বর্তমান কমিটির মেয়াদ প্রায় চার বছর অতিবাহিত হলেও এখনো নতুন কমিটি না হওয়ায় তরুণদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে বর্তমান কমিটির মধ্যে সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ ফাইন্যান্স এ- ব্যাংকিং বিভাগ থেকে বিবিএ এবং এমবিএ শেষ করেছেন ২০১১ সালে। বর্তমানে আকিজ গ্রুপে চাকুরি করছেন। আর সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হলেও কয়েক বছর পরীক্ষায় বসতে না পারায় তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়। পরে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্স শেষ করেন। বর্তমানে তিনি বিবাহিত এবং তিনি ঠিকাদারির কাজ করছেন। এছাড়া সহ-সভাপতি আহসানুজ্জামান অলিন, ইসমাইল হোসেন পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি করছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনসহ অধিকাংশ নেতারাই চাকুরি বা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক তৎপরতা বা দলীয় কর্মসূচি পালনে তাদের উপস্থিতি সেভাবে লক্ষ্য করা যায় না। এ অবস্থায় সংগঠনের গতি ফিরিয়ে আনতে নতুন কমিটির বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন পদ-প্রত্যাশী একাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় প্রায় অস্তিত্ত্বহীন হয়ে পড়েছে দলটি। দলের এমন পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীরা হতাশা আর কোণঠাসায় বাধ্য হয়ে পরবর্তীতে যোগ দিচ্ছেন সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনে। তবে এর পেছনে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকেই দায়ী করছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, ‘সামনে রাকসু নির্বাচন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি দিতে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি। তাদের সুবিধা অনুযায়ি কমিটির দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন হওয়ার পরে খুব শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads