রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সোয়া ৭ ঘণ্টা উপস্থিতি নিশ্চিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঢাকার উপপরিচালক ইন্দু ভূষণ দেব স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত ৮ মে দেওয়া ওই পরিপত্রে বলা হয়, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষকদের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান ও পাঠদান করতে হবে। এর জন্য শিক্ষকদের সুশৃঙ্খল ও কর্মনিষ্ঠ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিতে বিদ্যালয় কার্যক্রম বিভিন্ন শিফটে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিফটের শিক্ষকরা পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।
এ জন্য পরিপত্রে শিক্ষকরা সকাল অথবা বিকাল যে শিফটেরই হন না কেন তাদের সোয়া ৭ ঘণ্টা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর ১৫ মিনিট আগে শিক্ষকদের উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাঠদান শেষে শিক্ষকরা বাকি সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম/বাড়ির কাজ মূল্যায়ন করবেন। পরবর্তী দিনের রুটিন অনুযায়ী শ্রেণি পাঠদানের জন্য পাঠপরিকল্পনা ও শ্রেণিসংশ্লিষ্ট উপকরণ প্রস্তুত করাসহ শিক্ষার্থীর অর্জিত যোগ্যতাতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত বা কর্মস্থল ত্যাগ করলে ১৯৮২ সালের গণকর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ও ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিপত্রে শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিদ্যালয় পরিদর্শন ও মনিটরিং করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালে রাজধানীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল সাড়ে ৭টায় ক্লাস শুরু হয়। আর শিক্ষকদের উপস্থিত হতে হয় সোয়া ৭টার ভেতর। কারণ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির সংশোধিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্কুল শুরুর ১৫ মিনিট আগে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। এদিকে নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর সব প্রাথমিক বিদ্যালয় শীতকালে সকাল ৮টা থেকে পৌনে ৩টা চলবে। আর রাজধানীর বাইরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলবে।