• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

ফের রাজপথে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০১৯

সমস্যা সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দাবি পুনরুত্থাপন করেন এবং অনিশ্চিত ক্যারিয়ার থেকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনে রয়েছেন ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, সময়মতো পরীক্ষা না নেওয়া, ফলাফল প্রকাশে সাত থেকে আট মাস বিলম্ব করা, বিনা নোটিশে নতুন নিয়ম কার্যকর, একই বিষয়ে গণহারে ফেল, খাতার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া, সিলেবাস-বহির্ভূত প্রশ্নপদ্ধতিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ঢাবি কর্তৃপক্ষ একাধিকবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণে অনিশ্চিত ক্যারিয়ার থেকে উদ্ধার পেতে আমরা আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই এই সাত কলেজে নেমে আসে কালো অধ্যায়। দীর্ঘ নয় মাস সাত কলেজের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি হলে তারা কার্যক্রম শুরু করে। কিছুদিন পর ফের আগের অবস্থায় ফিরে যায় কলেজগুলো। এরপর পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামি আমরা। ঢাবি প্রশাসন দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ায়, আমরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাই। কিন্তু একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কলেজের কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনিশ্চিত শিক্ষাজীবন নিয়ে আমরা হতাশ। দাবির বিষয়ে আর কোনো আশ্বাস নয়, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান চাই আমরা।

আমাদের দাবিগুলো হলো- ফল প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সব বিভাগের ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশ করা, অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রির সব বর্ষের ফলে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করা,  সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, সিলেবাস অনুযায়ী মানসম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে সাত কলেজের শিক্ষকের মাধ্যমে করা এবং সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads