জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহের কার্যক্রম কাদের উদ্যোগে এই নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু নীল দলের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বানভাসি নামক পারফরমেন্স আর্ট পরিবেশনাকে ‘বঙ্গবন্ধু নীল দল কতৃক আয়োজিত বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতা’ এই নাম দিয়ে অর্থ সংগ্রহের যে তথ্য জনৈক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন তা বঙ্গবন্ধু নীল দলের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত নয়। এই বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে বঙ্গবন্ধু নীল দল এর কার্যনির্বাহী পরিষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা জনৈক শিক্ষক কে এমন প্রশ্নের উত্তরে মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ দে সিধু হলেন সেই ব্যক্তি যিনি সভার কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে নিজের মতামত কে বলে দিয়েছে সংগঠন এর পক্ষে যা সত্য নয়। বিগত সভায় কার্যনির্বাহী ১৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে ১৩ জন এর যৌথ সিদ্ধান্তে সভায় তাকে সভাপতি হিসেবে অনাস্থা জানানো হয় উপাচার্যকে নিয়ে কটুক্তি করার কারণে। তাই তিনি এই বক্তব্য প্রদান করতে পারেন না।
এবিষয়ে সিদ্ধার্থ দে সিধু বলেন, আমাকে সকল শিক্ষক নির্বাচিত করেছেন কার্যকরী পরিষদ একা আমার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আর তারা যে সভা করছে আমি সভাপতি হিসেবে তা জানিই না। আর বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়ানোর যে আয়োজন সেটিকে আমি মনে করেছি পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। আমি নিজে দাড়িয়েছি আর মনে করেছি আমার দলকেও রাখা উচিত। কেননা আমরা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করেই রাজনীতি করি। সকল ভালো কাজকে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু নীল দলের তাই বানভাসি আয়োজনকে আমি এভাবে মূল্যায়ন করেছি।
‘বানভাসি’ কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও পারফরম্যন্স আর্ট এর নির্দেশক মেহেদি তানজীর বলেন, এই আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় এর সকলের আর লক্ষ্য বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানো। এটি একক ভাবে কারো নয়। সকলের কাছে অনুরোধ করবো এটিকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখে বানভাসিদের পাশে দাঁড়ান এটা নিয়ে প্লিজ কেউ রাজনীতি করবেন না।
উল্লেখ্য সারাদেশে বন্যায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই ত্রাণ সংগ্রহ ‘বানভাসি’ কার্যক্রম।
