• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
চবি ল্যাবরেটরি কলেজের এমপিও বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

চবি ল্যাবরেটরি কলেজে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একাংশ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

চবি ল্যাবরেটরি কলেজের এমপিও বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০১৯

সারাদেশে এমপিও ভুক্তির জন্য যখন আন্দোলন করছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজের এমপিও বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাডে ১১টায় এই আন্দোলন করেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। এসময় আরও পাচটি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। কলেজের শিক্ষকরাও এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।

দাবিগুলো হলো অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ফজলুল হককে অপসারণ, সার্বিক বিষয়ে অধ্যক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে, কলেজে শিক্ষক সংকট পূরণ, অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থানীকরণ এবং টেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার অনুমতি প্রদান করতে হবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বালুর বস্তা, গাছের ডাল ফেলে তিন ঘন্টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

একাত্মতা পোষণ করে ইংরেজি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ড মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা চাই এমপিওভুক্ত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটি পরিচালিত হউক। এই সময় তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বলেন, অতিদ্রুত উনাকে পদত্যাগ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবিগুলো সম্পর্কে জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদেরকে দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। ভর্তি পরীক্ষার আবার প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করবো। ততদিনে যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে ৩ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবেদন চালিয়ে যাবো।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রিফাত রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করবে না বলে জানিয়েছেন।

এমপিও ভুক্তি জন্য কে আবেদন করেছে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামসাদ বেগম চৌধুরী বলেন, আমি যতটুকুু জানলাম এগুলো অধ্যক্ষ স্যার করেছেন। এটিতে কলেজের গভর্নিং বডির কোন সুপারিশও ছিলো না। এমপিও ভুক্তির কোন প্রয়োজনই ছিলো না বলে মনে করেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে চিকিৎসা ছুটিতে থাকা অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ফজলুল হকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, কলেজ থেকে ১৮ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। কিন্তু তাদের অনুমোদন ছিল না। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ জুন সকালে ওই ১৬ শিক্ষককে চিঠি দিয়ে কলেজে যোগ দিতে বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় ও সিন্ডিকেট মিটিং সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চবি প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে চবি ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে ১৬ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে সংস্থাটির অনুমোদন ছিল না বলে জানায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকায় তাদের ফের ওই কলেজে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করে ইউজিসি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads