• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
বিলি ইলিশের ‘নো টাইম টু ডাই’

ছবি : সংগৃহীত

হলিউড

বিলি ইলিশের ‘নো টাইম টু ডাই’

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০২০

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ২৫তম সিনেমা ‘নো টাইম টু ডাই’ মুক্তি পাবে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল। আর এই তুমুল জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজির আগামীর কিস্তিতে থিম সং গাইবেন বিলবোর্ডের অন্যতম শীর্ষ সংগীতশিল্পী বিলি ইলিশ।

জনপ্রিয় জেমস বন্ডের দীর্ঘ ইতিহাসে বিলি ইলিশই সর্বকনিষ্ঠ শিল্পী হিসেবে থিম সং গাইতে চলেছেন। এই গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি কথাও লিখেছেন তিনি। গানটির রেকর্ড ইতোমধ্যে ধারণ করা হয়েছে। তবে শিরোনামহীন এই গানটির মুক্তির তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

গত ডিসেম্বরেই ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলো মার্কিন কণ্ঠশিল্পী বিলি ইলিশের। ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি গান গেয়ে জয় করেছেন লাখো মানুষের হূদয়। সাফল্যের চূড়ায় থাকা এই অষ্টাদশী সংগীতশিল্পীর মুকুটে আরো একটি সম্মানজনক পালক যুক্ত হলো এবার।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিলি বলেন, ‘এই সিনেমার অংশ হতে পারা সব দিক থেকেই গৌরবের। আর এ রকম কিংবদন্তিতুল্য সিরিজের একটি পর্বের থিম সং করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানজনক ব্যাপার।’

বিলি ইলিশের কথা বললে ফিনিস ওকোনেলের কথা বলা দরকার। তিনি হলেন বিলির বড় ভাই। ফিনিসও গান করেন, একটা ব্যান্ডের হয়ে। এই ফিনিসের জন্যই বলা যায় বিলির পরিচিতি। কারণ ভাইয়ের লেখা ‘ওশানস আইজ’ গানটি ‘ছিনতাই’ করেই না বিলিকে চেনে মানুষ।

২০১৬ সালে প্রকাশিত গানটি দিয়ে অনলাইন দুনিয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান বিলি। বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডের তালিকায়ও নাম ওঠে। বছরের অন্যতম সফল গান ছিল সেটি। বলা হয়, এই গানের সাফল্যই ১৫ বছর বয়সী বিলিকে সাহস জোগায়। এরপর ২০১৭ সালে প্রকাশ করেন আরেকটি সিঙ্গল ‘বোরড’। এটা অবশ্য আগের মতো সাফল্য পায়নি। তবে বিলি বড় ধাক্কা দেন ‘থার্টিন রিজনস হোয়াই’ দিয়ে। নেটফ্লিক্সের এই সিরিজে সিঙ্গল দিয়ে ঝড় তোলেন। সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে খালিদের সঙ্গে ‘লাভলি’ গানটি পাঁচটি দেশে টপ চার্টের শীর্ষে ছিল।

২০১৮ সালটা ছিল গায়িকার। সে বছর দুটি সিঙ্গল প্রকাশ করেন। দুটিই ছিল সুপারহিট হিট। সিঙ্গলগুলোর সঙ্গে আরো গান নিয়ে বিলির অভিষেক অ্যালবাম ‘হোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হোয়ার ডো উই গো?’ প্রকাশিত হয় এ বছরের ২৯ মার্চ। হিপহপ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিক দ্বারা অনুপ্রাণিত অ্যালবামের গানগুলো সবার প্রশংসা পায়। বিলবোর্ড অ্যালবাম চার্ট হট ২০০-তে শীর্ষে থেকেই যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত ব্যবসার দিক থেকে গেল বছরের সেরা অ্যালবামের মধ্যে এটি। শুধুু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ ১৫টি দেশে শীর্ষে ছিল অ্যালবামটি। মাত্র ১৭ বছর ৩ মাস বয়সে বিলির এই কীর্তি ভেঙে দিয়েছে এক রেকর্ডও। তিনিই হলেন ২০০০ সালের পর জন্ম নেওয়া প্রথম গায়িকা, যার অ্যালবাম একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে শীর্ষে ছিল। অ্যালবামটি যুক্তরাষ্ট্রে টানা দুই সপ্তাহ শীর্ষে ছিল।

১৯৯৯ সালে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ‘লেট মি বেবি ওয়ান মোর টাইম’-এর পর বিলি হলেন সর্বকনিষ্ঠ গায়িকা, যার এই কৃতিত্ব আছে। অ্যালবামের বিক্রিবাট্টাও হয়েছে দারুণ। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে ডাবল প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। সব মিলিয়ে স্বপ্নের মতো সময় কাটছে গায়িকার। এই সুখবরের মধ্যে নতুন সংবাদ, জাস্টিন বিবারের সঙ্গে কাজ। গায়িকার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে কাজ করা। সেটা পূরণ হলো ‘ব্যাড গাই’-এর রিমিক্স ভার্সনে কাজ করে। এত দ্রুতই এত স্বপ্ন পূরণ হবে সেটা অবশ্য ভাবতে পারেননি গায়িকা, ‘আমার জন্য সবই খুব দ্রুত হয়ে গেছে। তিন বছর আগেও ভাবতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি এই অবস্থায় আসতে পারব।’

২০১৯ সালে বিলির প্রথম অ্যালবাম ‘হোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হয়ার ডু উই গো?’ মুক্তি পায়। এই অ্যালবাম বছরের সেরাদের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল। এবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে তিনি ছয়টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে সেরা চারটি ক্যাটাগরিতেই শক্তিশালী প্রার্থী তিনি। এগুলো হলো সেরা অ্যালবাম, সেরা নবাগত শিল্পী, সেরা গান ও রেকর্ড অব দ্য ইয়ার। বিলি এই সম্মানজনক পুরস্কারের মনোনয়ন যখন পান তখন তিনি মাত্র ১৭ বছরের মেয়ে। গ্র্যামির ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে কনিষ্ঠ শিল্পী যিনি এই গৌরবজনক মনোনয়ন লাভ করেছেন। স্পটিফাইয়ের হিসাবে ২০১৯ সালে সর্বাধিকবার দেখা অ্যালবাম হলো বিলি ইলিশের ‘হোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হয়ার ডু উই গো?’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads