এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা ভারতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। এদিন দেশটির ৫৯ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাত দফার দীর্ঘতম এই ভোটপর্ব। শেষ দফায় ভোট গ্রহণ করা হয় মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের ৮টি করে কেন্দ্রে, পাঞ্জাবের ১৩, ঝাড়খণ্ডের ৩, উত্তর প্রদেশের ১৩, হিমাচল প্রদেশের ৪, চণ্ডীগড় ও পশ্চিমবঙ্গের অবশিষ্ট ৯ কেন্দ্রে। ভোট গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার।
তবে বুথ ফেরত জরিপ বলছে, দিল্লির মসনদে আবারও মোদী সরকারই বসতে যাচ্ছে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাতটি পর্বে ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণের পর আগামী বৃহস্পতিবার ভোট গণনা করা হবে এবং ওই দিনই ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নরেন্দ্র মোদীর জন্য গণভোট হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। আর বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেহেরু-গান্ধীর বংশধর রাহুল গান্ধী।
বিবিসির খবরে বলা হয়, চারটি বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বড় ধরনের বিজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব জরিপে অনুমান করা হচ্ছে, বিজেপির নেতৃত্বে জোট ২৮০ থেকে ৩১৫টি আসনে জয়লাভ করবে এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি জোট অনেক এগিয়ে আছে বলে বুথ ফেরত জরিপে বলা হচ্ছে।
অপরদিকে নেলসন-এবিপি নিউজ-এর যৌথ জরিপে বলা হচ্ছে, বিজেপি জোট ২৬৭ টি আসনে জয়লাভ করবে, যেটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কম।
উত্তর প্রদেশে বিজেপি জোট ব্যাপকভাবে পরাজিত হবে বলে এই জরিপে আভাস মিলছে। এই প্রদেশে ৮০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ভারতের অন্য যে কোনো প্রদেশের চেয়ে উত্তর প্রদেশে আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশে ৭১টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার বুথ ফেরত জরিপে আভাস মিলছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে ৫১ টির মতো আসন হারাতে পারে বিজেপি।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিনি এসব জরিপের গল্প বিশ্বাস করেন না। গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারসাজি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপির প্রধান বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট বার্তায় নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদীর সাথে আপোষ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।