• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা মোদির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০২১

কৃষকদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বছর ধরে কৃষকদের আন্দোলনের পর আইন তিনটি বাতিল করলো মোদি সরকার।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’

গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতে তিনটি নতুন কৃষি আইন পাস করার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামে হাজার হাজার কৃষক। কৃষকদের দাবি, এই আইন তাদের জীবিকায় আঘাত হানবে এবং শুধু বড় কর্পোরেশনগুলোই এতে লাভবান হবে। বিক্ষোভ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক কৃষককে। পরে বিজেপি সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে অসংখ্যবার বৈঠক হলেও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।

বিতর্কিত কৃষি আইন স্থগিত রাখতে দেশটির শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরও কৃষি আইন বলবৎ করা নিয়ে অনড় ছিল দেশটির সরকার। আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে ভারত সরকার।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দেশের ছোট কৃষকদের কথা ভেবেই তিনটি কৃষি বিল আনা হয়েছিল। দেশের কৃষক সংগঠন, কৃষি অর্থনীতিবিদদের এই দাবি বহুদিনের। এর আগের সরকারও এই নিয়ে ভেবেছে। এরপরই সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা করে বিল পাস করানো হয়। কয়েক কোটি কৃষক এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। ভালো মনে এই আইন আনা হয়েছিল। কৃষকদের স্বার্থে আনা এই বিল আমরা কয়েকজনকে বোঝাতে পারিনি। কয়েকজন কৃষকই এর বিরোধিতা করছেন। তাও এটা আমাদের জন্য বড় বিষয়। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা তাদের কথাও বোঝার চেষ্টা করেছি। সরকার আইন বদলাতেও রাজি ছিল। এরই মাঝে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছে।’

আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার চাষাবাদে ফেরার আহ্বান জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মাসে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এখন কাউকে দোষারোপের সময় নয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান। সব আবার নতুন করে শুরু করা যাক।’

গুরু নানকের জন্মদিনে মোদির এমন ঘোষণাকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। আগামী বছরের শুরুতে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। আর কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন করা কৃষকদের বড় অংশই পাঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। পাঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে তার এমন পদক্ষেপ বড় ভূমিকা রাখতে পারে ধারণা রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads