• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০১৮

কুমিল্লায় পেট্রোল বোমায় বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মামলায় খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ। খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তিতে সোমবার এ আদেশ দেন আদালত। আদেশে বলা হয়, খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে হাই কোর্ট যে রুল দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। সে পর্যন্ত জামিনের ওপর চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এর ফলে অন্য সব মামলাতেও যদি জামিন হয়, তারপরও আগামী এক মাসে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো সুযোগ থাকছে না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডের রায়ের পর সাড়ে চার মাস ধরে বন্দি খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে ওই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু কুমিল্লার নাশকতার দু’টিসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোয় তার মুক্তি আটকে যায়।

মুক্তির পথ খুঁজতে মামলাগুলোতে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ২৮ মে হাই কোর্ট কুমিল্লার এ মামলায় জামিন মঞ্জুর করলে ঈদের আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন দলটির নেতারা।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চেম্বার আদালত ওই জামিন স্থগিত করে দেয়। পরে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ ওই স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ২৪ জুন লিভ টু আপিল শুনানির তারিখ দিলে ঈদের আগে খালেদার মুক্তি আটকে যায়। এর ধারাবাহিকতায় অবকাশ ও ঈদের ছুটি শেষে গত ২৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট খোলার পর লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন এ শুনানিতে অংশ নেন।

মাহবুবে আলম শুনানিতে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যার ওই ঘটনার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। তিনি বলেন, ‘এতবড় নৃসংশ ঘটনায় করা মামলার প্রধান ব্যক্তি হওয়ার পরও যদি তাকে জামিন দেওয়া হয়, তবে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তি ব্যক্তি ও তাদের পরিবারগুলোর কছে কী বার্তা যাবে? ফলে আমার আরজি হল, হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করা হোক।’

অন্যদিকে খন্দকার মাহবুব শুনানিতে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সম্মানহানী করতেই পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সরকারের এজেন্টরা পেট্রোল বোমা মেরে নাশকতা করেছে। তার দায়-দায়িত্ব বেগম খালেদা জিয়ার না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads