আদালত অবমাননার মামলায় জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যন বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে হামিদুর রহমান আযাদের পক্ষে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এর আগে আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের এ নেতা আত্মসমর্পণ করেন।
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ২০১৩ সলের ৯ জুন হামিদুর রহমান, তৎকালীন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
হামিদুর ও রফিকুলকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই সপ্তাহের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
আর সেলিম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে একহাজার টাকা জরিমানা এবং আদালত কার্যক্রম চলাকালে আদালতে বসে থাকার শাস্তি দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, আদালত অবমাননার পরে আদেশ অনুযায়ী আদালতে হাজির না হওয়ায় দু’জনের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করেন। তবে সেলিমউদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। তাকে কোনো কারাদণ্ড দেওয়া হয়নি।
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, পুলিশের প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদকে পলাতক দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারা জনসমক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ সংসদেও গেছেন। তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হয়ে আদালত অবমাননা করেছেন। তাদের গ্রেফতার করার পর অথবা তাদের আত্মসমর্পণের পর থেকে এ সাজা কার্যকর হবে।