• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
২৬ জনের স্টে অর্ডারে দুর্ভোগে ২২ লাখ লোক

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা তথা ডিএনডি বাঁধের ভেতরের জলাবদ্ধতা

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

২৬ জনের স্টে অর্ডারে দুর্ভোগে ২২ লাখ লোক

ডিএনডি এলাকায় ২০১৯ সালে জলাবদ্ধতা থাকবে না : প্রকল্প পরিচালক

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০১৮

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা তথা ডিএনডি বাঁধের ভেতরের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রধান অন্তরায় অবৈধ স্থাপনার ২৬ জন মালিকের আদালতের স্টে অর্ডার। এর পাশাপাশি বাঁধের অভ্যন্তরের খালের নিচ দিয়ে রয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার লাইন। যার জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজে পদে পদে বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, এখানে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ডিএনডি বাঁধ এলকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম ভূঞা কাজের প্রতিবন্ধকতা এভাবে তুলে ধরেন। সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মেজর কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ডিএনডি প্রকল্পের কাজ অন্য যেকোনো প্রকল্পের থেকে খুব চ্যালেঞ্জিং। মূলত এখানে ডাম্পিং নেই, খালগুলোর নিচ দিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন লাইন রয়েছে। যার জন্য কাজ করতে পদে পদে বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে ২৬ জন অবৈধ স্থাপনার মালিক স্টে অর্ডার নিয়ে এসেছে। এ ২৬ জনের জন্য ২২ লাখ লোকের সমস্যা হচ্ছে। আমরা এসব কিছুই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার এক বছর আগে যথা ২০১৯ সালের মধ্যে ডিএনডি এলাকায় কোনো জলাবদ্ধতা থাকবে না। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ২৪ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম ভূঞা জানান, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএনডি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের বেসিক সমস্যা সমাধান করার পর আর পানি জমবে না। আমরা সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া এ কাজের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার যে ব্যয় ধরা হয়েছে তাও কিছুটা বাড়বে।

তিনি আরো জানান, ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে ৯৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের ৫৪ কিলোমিটার বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনো ৪০ কিলোমিটার বুঝিয়ে দেওয়ার বাকি। ইতোমধ্যে আমরা ৫০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করে ফেলেছি।

সীমানা নির্ধারণ (ডিমারকেশন) প্রকল্পের কাজের বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম বলেন, এজন্যও কাজে দেরি হচ্ছে। ডিসি অফিস ও কানুনগো এসে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অনেক পুরনো কাগজ হওয়ায় অনেক সময় না পাওয়ার কারণে এতে বিলম্ব হয়। এছাড়া সরকারি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ঠিকভাবে সহযোগিতাও পাচ্ছি না।

উন্নয়ন বিষয়ে তিনি জানান, অনেক এলাকায় খালের মধ্য দিয়ে রাস্তা গেছে, আমরা সেসব রাস্তাও উন্নয়নের আওতায় নিয়ে এসেছি। খালের দুই পাড় বাঁধাই করে দেওয়া হবে। এর পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে। তাছাড়া রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে এখানে খালের ওপর ব্রিজ, সৌন্দর্যবর্ধন, পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট বসানোসহ ওয়াটার বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে তিনি বলেন, শিমরাইলে ২০০ কিউসিকের ৬টি ও আদমজীতে ৭টি পানি নিষ্কাশন পাম্প বসানো হবে। এছাড়া ফতুল্লা, শ্যামপুর ও পাগলা এলাকায় ১০ কিউসেকের ২৪টি পাম্প বসানো হবে। তখন পানি জমবে না। আর বর্তমানে যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা আছে সেসব বিষয়ে দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads