• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
জলঢাকা এমপির সাড়ে ৩ ঘণ্টা রাস্তায় বিক্ষোভ

জলঢাকা এমপির সাড়ে ৩ ঘণ্টা রাস্তায় বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার দাবি

জলঢাকা এমপির সাড়ে ৩ ঘণ্টা রাস্তায় বিক্ষোভ

  • নীলফামারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

নীলফামারীর জলঢাকায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। গত বুধবার দুই পক্ষের হট্টগোলে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার পর যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবিতে এমপি মোস্তফা এ বিক্ষোভ দেখান। নীলফামারী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম মোস্তফার অভিযোগ, যুবলীগ নেতা ওয়াহেদ বাহাদুর তাকে ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত’ করেছেন। এ অভিযোগে গোলাম মোস্তফা ও তার সমর্থকরা জলঢাকা শহরের জিরোপয়েন্টে সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে থাকায় বুধবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জলঢাকা থেকে রংপুর, নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা ও পঞ্চগড় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের আশ্বাসে গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা রাস্তা ছাড়লে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয় বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমীন জানান।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জলঢাকা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে গত বুধবার আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপজেলা কমিটি। উন্মুক্ত আলোচনায় সাংসদের বক্তব্যের সময় শুরু হয় হট্টগোল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর লোকজন নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে সংসদ সদস্যকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় এমপির সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে আলোচনা সভা বন্ধ করে দেয়।

অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর যুবলীগ নেতা ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবিতে জলঢাকা জিরোপয়েন্টে গিয়ে অবস্থান নেন এমপি ও তার সমর্থকরা। এ সময় আশপাশে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ফোন করে এমপি গোলাম মোস্তফাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে গোলাম মোস্তফা তার সমর্থকদের নিয়ে সরে যান।

এদিকে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, তিনি একজন মিথ্যুক, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আলোচনা সভায় তিনি আমাকে ও আমার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করছিলেন। এ সময় আমি তাকে জিজ্ঞাস করি- ‘স্যার, আপনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। আজ এই সভাস্থলে আপনি বলেন আপনি কার অধীনে, কোথায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এই প্রশ্ন করার পর পরই তিনি উত্তর না দিয়ে সভামঞ্চ থেকে নেমে নিজ গাড়িতে উঠে বসেন। পরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর অবরোধ করেন।’

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমীন বলেন, ‘দুই পক্ষ যাতে মুখোমুখি অবস্থান নিতে না পারে এজন্য সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এমপি মহোদয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমপি মহোদয়সহ বিক্ষুব্ধরা যে দাবি তুলেছেন সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads