• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল হবে না : আদালত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না : আদালত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তার আইনজীবীদের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত।

রাজধানীর ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আজ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মামলা স্থগিতের জন্য তার আইনজীবীদের আবেদনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ ৭ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ আদেশ পালনে তারা ব্যর্থ হলে দুদকের পক্ষে আইনজীবী রায়ের দিন ধার্যে যে আবেদন করেছে সে বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামি মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান বর্তমানে কারাগারে আছেন। আরেক আসামি হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।

একই সঙ্গে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মামলার আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। আজ আদালতের কার্যক্রমের শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অনুপস্থিত রেখে বিচার করার যে আদেশ আদালত দিয়েছে সেই বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে গিয়েছি। সেজন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের আবেদন করেছি।’

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে জামিনের আবেদন করেননি। সেজন্য খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করার সুযোগ নেই। তার জামিন বাতিল করতে হবে। খালেদা জিয়া গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে এসে বলেছেন, তিনি বারবার আদালতে আসবেন না। সেজন্য তার সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমরা তার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য চালানোর জন্য আদালতে আবেদন করি।

তবে গত কয়েকদিনের মত আজও যুক্তিতর্কে অংশ নেয়নি আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুদকের পক্ষে আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন পেশ করে জানান, যেহেতু আসামীপক্ষ শুনানি করতে আগ্রহী নয়, তাই মামলাটির রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হোক।

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল এবং ২০ সেপ্টেম্বর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই যুক্তিতর্ক শুনানি তথা বিচার কাজ চলবে বলে আদেশ দেয়া হয়।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫ বছরের সাজা ভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায়ের দিন থেকে কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads