অবশেষে মিলন আটকের নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে বন্দরনগরীর চকবাজারের চট্টেশ্বরী রোডের এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির পিপিএম বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে আদালতে অনেকগুলো মামলা চলমান। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার ৪৫২, চট্টেশ্বরী রোডের ‘মমতাজ ছায়ানীড়’ নামে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেফতার করে
চাঁদপুর আদালতে মিলনের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে আদালতে ২৮টি মামলা বিচারাধীন। গত মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) জিআর ২৬৪/০৯ মামলায় তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্রেফতার আতংকে ওইদিন আদালতে হাজির হননি তিনি।
আইনজীবীরা আরো জানান, সবগুলো মামলায় জামিনে ছিলেন মিলন। কিন্তু দীর্ঘদিন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে ছিলেন তিনি। তাই এসব মামলায় হাজিরা দিতে পারেননি। এসব মামলার ২৬টিতে তার বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে আদালতে হাজিরার সময় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন এহছানুল হক মিলন। গত ১৮ নভেম্বর ‘আত্মগোপনে’ থাকা মিলনের সই করা চিঠি নিয়ে ইসিতে যান তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবী।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে মিলন চাঁদপুরে আদালতে হাজিরা দিতে আসছেন এমন গুজবে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত সাংবাদিকরা ভীড় করে আদালত প্রাঙ্গনে কিন্তু গ্রেফতার আতঙ্কে আদালতে হাজিরা দিতে আসননি মিলন।
পুলিশ সুপার অফিস সূত্রে জানাযায়, আটক মিলনকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) দুপর ১২টায় তাকে আদালতে তোলা হবে।